রাষ্ট্রের সব কার্যক্রম সংবিধানের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় নির্বাচনও সংবিধানসম্মতভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, কেউ এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
সংবিধানকে বাইপাস করে বিশেষ কোনো গোষ্ঠী বা দলকে নির্বাচনে আনার সুযোগ নেই বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে মঙ্গলবার সাম্যবাদী দলের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমু।
আমু বলেন, ‘আজ যারা নির্বাচন নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, তারাই এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন। ভোট কারচুপি, হুন্ডা-গুন্ডা, ভোটের নামে হ্যাঁ-না ভোটের তামাশা করেছেন।’
এছাড়া এদেশে অনেকে মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বলেও প্রতিক্রিয়াশীল দলের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে তাদের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বিএনপি হত্যা ও খুনের রাজনীতি বহনকারী দল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘গণতন্ত্রের মুখোশধারী বিএনপি আর ধর্মের মুখোশধারী জামায়াতকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। তারা খুন ও অপরাজনীতির ধারক।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে যা দিয়েছেন অন্য কেউ তা দিতে পারেনি। তাই সব ষড়যন্ত্রের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে হবে।’
অলোচনা সভায় গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটি ব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, জাতীয় পার্টি জেপি প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, গণ আাজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।