ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নার্সিং কলেজগুলোর বিএসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- ফরিদা খাতুন, মোছা. মনোয়ারা খাতুন, মোছা. নার্গিস পারভীন, মোছা. কোহিনুর বেগম, মো. ইসমাইল হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আরিফুল ইসলামের দুই দিন এবং অন্য পাঁচ আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বিন কাশেম।
২১ আগস্ট রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মহাখালী, ধানমন্ডি ও আজিমপুর থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ৯টি মোবাইল ফোন এবং ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের কপি জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯৮টি নার্সিং কলেজের মধ্যে বর্তমানে ৩৮টি কলেজে পরীক্ষা চলছে। প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুজন প্রশ্ন প্রণয়নকারী নিয়োগ দেয়া হয়। তারা দুই সেট আলাদা প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। প্রশ্নপত্রগুলো যাচাই করার জন্য একটি মডারেটর টিম নিয়োগ করা হয়। তাদের কাজ হচ্ছে প্রশ্নপত্রগুলো থেকে পরীক্ষার জন্য এক সেট পরিপূর্ণ প্রশ্নপত্র তৈরি করে সেগুলো সিলগালা করে চিকিৎসা অনুষদের ডিনের কাছে জমা দেয়া।
পরে চিকিৎসা অনুষদের ডিন বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের জন্য চার সদস্যদের একটি গোপনীয় টিম নিয়োগ করেন। যারা নির্বাচিত প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টিং এবং প্যাকিংয়ে নিযুক্ত থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রশ্নপত্রগুলো প্রিন্ট করে আলাদা আলাদা প্যাকিং করে তার ওপরে কেন্দ্রের নাম লিখে সিলগালা করে দেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন কেন্দ্রে বিতরণ করে।