প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০ সেনা সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদেরকে প্রশংসাপত্র প্রদান ও ইনসিগনিয়া পরিয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এ পুরস্কার দেয়া হয়। তাদের মধ্যে দুজন আভিযানিক সফলতার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।
এ ছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন সেনাসদস্য ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত অসামরিক ব্যক্তিকে ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হয়।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত শুদ্ধাচার চর্চাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এ বছর মোট ২৫৭ জন জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র ও ইনসিগনিয়া এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার দেয়া হয়।
এ সময় সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন পদবির অফিসার, জেসিও ও সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অসামান্য কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের অত্যন্ত উঁচু মনোবল, কর্মস্পৃহা, দেশপ্রেম এবং দায়িত্বের প্রতি অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান। তিনি বলেন, তাদের এই স্পৃহা সবার জন্য পাথেয়। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে এ ধরনের অনুকরণীয় কাজের জন্য নির্দেশনা দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ একই দিনে মিরপুর ডিওএইচএসে নবনির্মিত কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিওএইচএস পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিরপুর ডিওএইচএস কালচারাল সেন্টারটিতে ব্যাংক, কনভেনশন হল, উন্নত চিকিৎসাসুবিধা, করপোরেট অফিস, জিমনেসিয়াম, সেলুন, পার্লার, ক্যাফে, ই-গেমিং জোনসহ সম্ভাব্য সব আধুনিক নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি এই এলাকায় বসবাসরত জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।