কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা সেই স্কুলশিক্ষককে পরীক্ষার জন্য একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশি হেফাজতে ওই হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয় ওই নারীকে।
এক আত্মীয়র মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গত শুক্রবার সকালে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন বাদী শিক্ষক। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা হয় সোমবার রাত ১২টার দিকে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। যেহেতু ভিকটিম নিজে মামলার বাদী, সে হিসেবে তার জবানবন্দি নেয়া হয়নি। তার এজাহারের বক্তব্যই জবানবন্দি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।’
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মালিপাড়া থেকে ওই নারী তার এক ভাগনির মেহেদী অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়া নামের একজনের সঙ্গে কথা-পরিচয় হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে ইজিবাইকে করে নিজবাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় এলে বেদার ও তার সহযোগীরা তাকে আরেকটি ইজিবাইকে তুলে নেন। ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে অস্ত্রের মুখে তারা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
মামলায় সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনুছঘোনা এলাকার ২৮ বছর বয়সী বেদার মিয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষকের এক স্বজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনা পরিবারের লোকজন জানার পর থানায় যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে রামু থানা, সেখান থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা; কিন্তু মামলা নিতে চাচ্ছিল না। পরে সোমবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা মামলা নিয়েছে।’