নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার পাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজার’ সামনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ (সোমবার) খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি ইসিজি ও ইকোসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা হয়েছে। আরও কয়েকটি পরীক্ষা বাকি আছে। তিনি বাসায় ফিরে এসেছেন।’
সোমবার বিকাল ৪টা ৩৩ মিনিটে হাসপাতালে প্রবেশ করেন তিনি। এর আগে বিকাল ৩টা ৫৭ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৮ মিনিটে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়েদা রহমান এই বোর্ডের সদস্য। আজ যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া যাবে মঙ্গলবার। সেগুলো পর্যালোচনা করে তার শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে।’
ডা. জাহিদ জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের কোনো না কোনো সদস্য প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার কাছে আসেন। তার স্বাস্থ্যের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যখন যে চিকিৎসা দরকার সেটা দিচ্ছেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার। মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে তার চিকিৎসা হওয়া দরকার। আগেও সেই দাবি জানানো হয়েছে। পরশু মেডিক্যাল বোর্ডও বলেছে যে তার দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা দরকার।’
সাংবাদিকদের এই ব্রিফিংকালে অন্যদের মধ্যে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির নেতা ফজলুল হক মিলন, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।