আমন মৌসুমে সেচ নিরবিচ্ছিন্ন করতেই সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সূচি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সেচের সুবিধার্থে, কৃষির সুবিধার্থে গ্রামে লোডশেডিং কমানোর জন্য সাময়িকভাবে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই মৌসুমের ধান সেচ ও সূর্যালোকের ওপর নির্ভর করে। এ সময় সেচের প্রয়োজন হতো না, কিন্তু এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ধান বুনতে এবং অন্যান্য কৃষিকাজ করতে পারছে না।
‘এখন যদি তাদেরকে আমরা সেচের জন্য বিদ্যুৎ দেই সেটি যে খুব বেশি কাজে লাগবে। ১০-১৫ দিন পরে দেয়া শুরু করলে তা তো কাজে লাগবে না।’
জ্বালানি সাশ্রয়ে এই ধরনের ব্যবস্থা দেশে দেশেই নেয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোসহ সমগ্র পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
‘যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে তিনদিন স্কুল করা হচ্ছে। জার্মানিসহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনও বিদ্যুৎ যায়নি, সেখানেও নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী খরা চলছে। আমাদের দেশে যাতে সে কারণে ফসলহানি না হয়, সেজন্য এ ব্যবস্থা।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে করা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনাও করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন এটি সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ এবং ফৌজদারি অপরাধ।
‘আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ এ দু'টি কারণে ব্যবস্থা নেয়া, মামলা হওয়া প্রয়োজন। কারণ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মামলা হয়েছে, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, মামলার সাক্ষ্য সম্পন্ন করে বিচার হয়েছে।
‘বিচারে অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। যেটি আদালতে মীমাংসিত এবং আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত সেটি নিয়ে এ ধরণের কথা বলা আদালতের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন, আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারী অপরাধ।’