বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বছরের শেষ নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা পররাষ্ট্র সচিবের

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২২ ২৩:০৫

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে ভার্চুয়াল টাস্কফোর্স মিটিং শেষে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরসহ ইউএনএইচসিআর, উব্লিউএফপি, ইউনিসেফ ও আইওএম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মিটিং খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আবারও জোর দিয়েছি রোহিঙ্গাদের রাখাইনে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেয়ার ওপর।’

চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। রোববার বিকেলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে হওয়া ভার্চুয়াল টাস্কফোর্স মিটিং শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আশা ব্যক্ত।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মিটিংয়ে প্রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরসহ ইউএনএইচসিআর, উব্লিউএফপি, ইউনিসেফ ও আইওএম প্রতিনিধিরা ছিলেন। মিটিং খুবই ফলপ্রসূ ছিল। আমরা আবারও জোর দিয়েছি রোহিঙ্গাদের রাখাইনে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেয়ার ওপর।’

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এখনও শুরু না হওয়া নিয়ে বাংলাদেশ হতাশ কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘হতাশ হলে তো সবই শেষ। আমাদের স্বার্থেই চেষ্টা করতে হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য বার্ডেন (বোঝা)। আমাদের আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে। কারণ রোহিঙ্গারা যেন হতাশ হয়ে না পড়ে, সেই রিস্কগুলো মিনিমাইজ করা। আমরা এখনও আশাবাদী, এ বছর শেষ হওয়ার আগেই আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব।’

বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আজ আমরা দুটি পলিসি ডকুমেন্ট অ্যাডাপ্ট করেছি। একটি হলো- স্ট্রিম লাইনিং দ্য এনগেজমেন্ট অফ রোহিঙ্গা অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার ইন ক্যাম্প অ্যাক্টিভিটিস।’

এই ডকুমেন্টের উপকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে এটা নিয়ে কোনো পলিসি ছিল না। অনেক গ্যাপ ছিল। কে কী করছে সেই তথ্য সবসময় আমাদের কাছে থাকত না। আমরা আশা করছি, এই পলিসির মাধ্যমে একটা কমন ডেটাবেইস হবে এবং এই ডেটাবেইসের মাধ্যমে আমরাও জানতে পারব কাকে কোথায় কিভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে এবং কী ধরনের রেনুমেশন দেয়া হচ্ছে।’

মামুদ বিন মোমেন জানান, ‘দ্বিতীয়টি হলো স্কিল ডেভলপমেন্ট। এটার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক আগ্রহ রয়েছে। স্কিল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাসিটিজ ফর রোহিঙ্গাস অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিস। এটার ওপর আমাদের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে অনেক মিটিং হওয়ার পর আজ ফাইনালাইজ হয়েছে। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং বা স্কিলড ডেভলপমেন্ট করা হবে। রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পর এসব ট্রেনিং তাদের কাজে লাগবে।’

কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছ থেকে আশ্বাস মিলেছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভাসানচরে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা গেছে। তবে ওখানে জাতিসংঘের যে ইনভলভমেন্ট সেটা পুরোপুরি শুরু হয়নি। বিশেষ করে ওখানে খাদ্যের যে প্রবাহ সেটা আমাদের লোকাল এনজিওগুলো ব্যবস্থা করছে। আজ আমরা আশ্বাস পেয়েছি, উব্লিউএফপি এটা ইমিডিয়েট শুরু করছে এবং আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের খাদ্যের সংকট হবে না।’

মাসুদ বিন মোমেন জানান, বৈঠকে জাতিসংঘ সাইট রাখাইনে কী করছে সেটার তথ্য শেয়ার করেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সহায়ক ইনভলভমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তারা জানিয়েছে, রাখাইনে যে গ্রামগুলো আছে সেখানে তারা নানারকম কর্মকাণ্ড করছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের রাখা হয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের বিষয়ে ইউএনএফপিএ কাজ করবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর যে ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা যুক্ত হচ্ছে, তাতে করে ওভারঅল পপুলেশন অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৈঠকে ইউএনএফপি’কে ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের বিষয়ে জোর দিতে বলেছি। তারাও অচিরেই কাজ শুরু হরবে। দ্রুত যেন এটা অ্যাডাপ্ট করা যায় সে বিষয়ে আমরা বলেছি।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিশুদের লেখাপড়ার বিষয়টি আলোচনা করেছি। কেজি ক্লাস থেকে গ্রেড নাইন পর্যন্ত মিয়ানমারের কারিকুলাম ঠিক রেখে কিভাবে কাজ করা যায় সেটা শুরু হয়ে গেছে, আজ তারা ব্রিফ করেছে। আন্তর্জাতিক কমিউনিটির এটা নিয়ে বেশ আগ্রহ রয়েছে।’

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং ভাসানচরে বিদ্যুৎ ও ডিজেল সাশ্রয় প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভাসানচরে ডিজেলচালিত জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। সেটার পরিবর্তে আরও বেশি পরিমাণে সোলার ব্যবহারের বিষয় নিয়ে ডেভলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

আগামী ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে। বৈঠকে এ প্রসঙ্গটি ছিল বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব।

এ বিভাগের আরো খবর