বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করেছে : শিক্ষামন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ আগস্ট, ২০২২ ২১:৫৫

দীপু মনি বলেন, ‘জয় বাংলা স্লোগানকে কেন নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো। বলা হয় জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাহলে জয় বাংলা তো নিষিদ্ধ হবার কথা নয়।

বঙ্গবন্ধুকে যারা মানুষের মন থেকে, বাঙালির ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো তারাই আজ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বারবার বাঙালির হৃদয়ে ভালোবাসার স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি।

রবিবার বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে এদেশ থেকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রবলভাবে ফিরে এসেছেন। শারীরিকভাবে হয়তো বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার আদর্শকে সরিয়ে দেয়া যায়নি। যারা তার নামকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো তারাই আজ আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন।’

ডা দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ঢাকা থেকে অনেক দূরে টুঙ্গিপাড়ায় দাফন করা হয়েছিলো। যাতে তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়। বাঙালির মন থেকে দূর করে দেয়া যায়। কিন্তু বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করেছে। টুঙ্গিপাড়ায় এখনও বঙ্গবন্ধুর টানে মানুষের ঢল নামে। শিশুদের কোলাহাল জমে। যতদিন বাঙালি থাকবে, তার স্বপ্ন থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু মুজিব জাগরুক থাকবেন।’

দীপু মনি বলেন, ‘জয় বাংলা স্লোগানকে কেন নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো। বলা হয় জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাহলে জয় বাংলা তো নিষিদ্ধ হবার কথা নয়। কেন জয় বাংলার বদলে পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগান করা হলো। কেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের বদলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ করা হলো। এটা বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করে দেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর জন্যই করা হয়েছে।’

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভাষা, গবেষণা ও পরিকল্পনা) আজহারুল আমিন। সেমিনারে ‘১৫ই আগস্ট ২০২২: শোক থেকে শক্তির ক্রম-উত্থান’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর