গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পদচ্যুত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বরখাস্তের আদেশটি চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
রিটের আংশিক শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দিয়েছে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী মশিউর রহমান সবুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ আগস্ট আমরা হাইকোর্টে রিট করি। ওই রিটের আংশিক শুনানি হয়েছে। শুনানিতে আমাদের পক্ষে আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানি করেছেন। মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য রেখেছে আদালত।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে ঘরোয়া আলোচনায় আপত্তিকর বক্তব্য রাখার ভিডিও ফেসবুকে ফাঁস হলে জাহাঙ্গীরের শাস্তির দাবিতে মাঠে নামে গাজীপুর আওয়ামী লীগের একাংশ।
এই আন্দোলন বড় হতে হবে জাহাঙ্গীরের পাশ থেকে সরে যান নেতা-কর্মীরা। আর এক পর্যায়ে ২৫ নভেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আওয়ামী লীগও দলীয় সব পদ কেড়ে নেয় তার।
এখন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন আসাদুর রহমান কিরণ। আর জাহাঙ্গীর তার সব প্রভাব হারিয়ে এখন অনেকটাই একা। গাজীপুরে পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার যে নিয়ন্ত্রণ বছরের পর বছর জাহাঙ্গীরের হাতে ছিল, সেটিও এখন তার এবং তার অনুসারীদের হাতে নেই।
দলীয় ও সিটি করপোরেশনের পদ হারানো জাহাঙ্গীর গত ঈদুল ফিতরের পর আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেন। দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তিনিই আইনত গাজীপুরের মেয়র।
তবে জাহাঙ্গীর এমন বক্তব্য রাখার পর তার অনুসারীদের দল থেকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেয়ার পর জাহাঙ্গীর আবার চুপচাপ হয়ে যান। এক পর্যায়ে তিনি দেশের বাইরে চলে যান।
বরখাস্তের পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলাও করা হয়। গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা ওই মামলায় তিনি জামিনে আছেন বলে জানান তার আইনজীবী।