বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাহাঙ্গীরের ‘অনিয়মের’ তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২২ ১৯:৩০

তদন্ত কমিটির প্রধান মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে। এরই মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের শুনানি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি লিখিতভাবে জবাব দিয়েছেন। আমরা সেটি যাচাই করছি। তিনি আরও শুনানিতে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রয়োজন হলে আবারও তার বক্তব্য নেয়া হবে।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি দ্রুতই প্রতিবেদন দিচ্ছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী এ কথা বলেছেন।

অভিযোগ তদন্তে নেমে কমিটি ইতোমধ্যে একাধিকবার জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সবশেষ শনিবার গাজীপুর নগর ভবনে গিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই, তথ্য সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কমিটির সদস্যরা। তারা বিভিন্ন নথিপত্রের অনুলিপি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। বদলিজনিত কারণে তদন্ত কমিটির সদস্য অনুপম বড়ুয়া এদিন উপস্থিত ছিলেন না।

টেন্ডারবাজিসহ অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগের পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গত বছরের ২৫ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পরে অভিযোগ তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন অনুবিভাগ) মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন যুগ্ম সচিব অনুপম বড়ুয়া ও উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

১০ জানুয়ারি থেকে সাত মাস ধরে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে কমিটির সদস্যরা গাজীপুরে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন, অভিযোগকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করেছেন।

তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্যও নিয়েছে।

নগর ভবনে শনিবার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির প্রধান মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, ‘কমিটি দিনভর জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভুয়া দরপত্র, দরপত্রে অনিয়ম, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতি বছর হাটবাজার ইজারার টাকা যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না দেয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অর্থ খরচের অনিয়ম, ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত অভিযোগ, উন্নয়ন খাতের টাকা রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে ৯৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা কিভাবে-কোথায় খরচ করা হয়েছে, এমন ১০টি অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। যেনো কোনও বিষয় বাদ না পড়ে সেজন্য গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে। এরই মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের শুনানি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি লিখিতভাবে জবাব দিয়েছেন। আমরা সেটি যাচাই করছি। তিনি আরও শুনানিতে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রয়োজন হলে আবারও তার বক্তব্য নেয়া হবে।’

তদন্ত কমিটি এদিন সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মজিবুর রহমান কাজল, হিসাবরক্ষক গোলাম কিবরিয়া, কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছে।

গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বিতর্কিত বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর দলীয় নেতাকর্মীসহ নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নগরজুড়ে বেশ কয়েকদিন টানা আন্দোলন হয়।

এ ঘটনায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একই বছরের ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়া হয়।

অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক নারগিস সুলতানা ও সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমানের সমন্বয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর