নিম্নচাপের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্রে উল্টে যাওয়া দুটি ট্রলারের সাতজন জেলেকে উদ্ধার করে ভারতের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন বলে নিশ্চিত করেছে সেখানকার প্রশাসন। নিখোঁজ অন্য জেলেদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী।
উদ্ধার করা জেলেদের ভাষ্যমতে, দুটি ট্রলারে মোট ৩০ জন ছিলেন। বৃহস্পতিবার ‘ভাই-বোন’ নামের ট্রলারে ১৩ জন এবং ‘মায়ের দোয়া’ নামের ট্রলারে ১৭ জনকে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে বের হন তারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে ট্রলার দুটি উল্টে যায়। জেলেরা বিচ্ছিন্নভাবে ভাসতে থাকেন। প্রায় আড়াই দিন পর শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভারতীয় জলসীমা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি জেলেদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন ভাই-বোন নামের ট্রলারে। অন্য দুজন মায়ের দোয়া ট্রলারের।
চিকিৎসাধীন জেলেদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মাছ ধরব বলে ট্রলার নিয়ে বের হয়েছিলাম। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে আমাদের ট্রলার ডুবে যায়। প্রায় আড়াই দিন পানিতে ভেসে ছিলাম।
‘সন্ধ্যার পর অন্ধকারে কিছু দেখতে পেতাম না। সমুদ্রের কোথায় আছি, কোথায় যাচ্ছি বুঝতে পারতাম না। শনিবার দুপুরে আমাদের কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। এখন তাড়াতাড়ি আমরা বাড়ি ফিরতে চাই।’
এর আগে স্বাধীন ফিসিং নামে আরেকটি ট্রলার ১১ জন জেলেকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে উল্টে যায়। পরে জেলেরা ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়েন।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির একটি ট্রলারে করে যাচ্ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মৎস্যজীবী ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক। তিনি সমুদ্রে কয়েকজনকে ভাসতে দেখে সবাইকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। এরপর স্থানীয় রায়দিঘি হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
জেলেদের পরিচয়সহ তথ্য পাঠানো হয়েছে রাজ্য মৎস্য দপ্তরে। সেখান থেকে যোগাযোগের মাধ্যমে জেলেদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা হবে।