বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিএনপিকে পায়ে ধরে ভোটে আনবে না ইসি’

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩২

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘কেউ যদি বলে আমরা নির্বাচনে যাব না, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা তো আমাদের দেয়া হয়নি। যারা নির্বাচনে যারা আসবেন, কমিশনের দায়িত্ব হলো তাদের নিয়েই চিন্তাভাবনা করা। তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিকে পায়ে ধরে নির্বাচনে আনতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ইসির দুয়ার খোলা থাকবে।

সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার প্রসঙ্গ টেনে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর রোববার এসব কথা বলেছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,

‘নির্বাচনে আনেন এমনটা কোথাও বলা আছে? তাহলে আমরা কেন আনব। সংবিধানে যদি এমনটা থাকত তাহলে আমরা তা করতাম।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘যারা বলছেন যে আমরা নির্বাচন করব না, নির্বাচনে আসব না; তারা কী বলছেন না বলছেন তা তো আলোচ্যসূচিতে রাখার সুযোগ নেই। আমাদের আলোচ্যসূচিতে রাখতে হবে যারা আলোচনায় এসেছেন তাদের বক্তব্য। কাজেই তারা বাইরে কী বলছেন, তার ভিত্তিতে কি আলোচনা করার সুযোগ আছে?’

সাবেক ইসি সচিব ও বর্তমান কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘যতগুলো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে, আমরা চাইব তারা সবাই নির্বাচনে আসুক। আমরা খুশি হব। সবাই যদি আসে দ্যাট উইল বি ভেরি গ্রেটফুল। খুবই ভালো কাজ হবে।

‘এখন কেউ যদি বলে আমরা নির্বাচনে যাব না, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা তো আমাদের দেয়া হয়নি। এখন নির্বাচনে যারা আসবেন, কমিশনের দায়িত্ব হলো তাদের নিয়েই চিন্তাভাবনা করা। তারা কী বলছেন তাদের কথাই তো গুরুত্ব দিতে হবে। কেউ যদি বলেন, আমি নির্বাচনে যাব না; তখন উনি কী চাচ্ছেন নির্বাচনে সেটা তো গুরুত্বে আনার সুযোগ নেই।’

আলোচনায় এসে বিএনপি যদি বলে নির্বাচনে যাব, তবে ইভিএম চাই না তখন কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তাহলে অবশ্যই আমলে নেব। কারণ তারা এসে যখন বলবেন যে নির্বাচনে যাব, তবে আমরা এটা চাই। তখন তো সেটাই আমরা নেব।

‘কারণ ওনারা নিবিন্ধত রাজনৈতিক দল। আমলে না নেয়ার তো সুযোগ নেই। যেহেতু তারা সংলাপে আসেনি, কাজেই ওনাদের কথা তো রেজ্যুলুশনভুক্ত করে আলোচনা করতে পারি না।’

ইভিএম থেকে তখন ইসি সরে আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘সরে যাওয়ার বিষয় তো না। তখন আসন হয়তো কম-বেশি হতে পারে। ওনারা যদি বলেন এতসংখ্যক করেন, তখন আমরা যদি কনভিন্সড হই যে তাদের কথায় যুক্তি আছে তাহলে সেটাই হবে। আর যদি দেখি যে যুক্তিযুক্ত না, তখন বলব আপনাদের যুক্তিটা তো গ্রহণযোগ্য হলো না। আপনারা এমনি এমনি বললে হবে না, বিষয়টা তো লজিক্যাল হতে হবে।’

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ‘সংবিধান আমাদের ক্ষমতা দিয়েছে নির্বাচন করার, নির্বাচন সুষ্ঠু করার, গ্রহণযোগ্য করার। সংবিধান কি আমাদের এমন ক্ষমতা দিয়েছে যে যারা নির্বাচনে আসবেন না তাদের লোভ দেখিয়ে সন্তুষ্ট করে, অনুরোধ করে, পায়ে ধরে নির্বাচনে আনেন? সংবিধানের কোথাও এমনটা বলা আছে? তাহলে আমরা কেন আনব। যদি থাকত তাহলে করতাম।

‘আমাদের দরজা দাওয়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, আমাদের দরজা খোলা থাকবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত।’

এ বিভাগের আরো খবর