কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুর রেলগেট এলাকায় রোববার বেলা আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান।
তিনি স্থানীয়দের বরাতে জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার দেড় যুগ পূর্তির দিন নগরীর টাউনহলে জনসভার আয়োজন করে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি করা এমপি বাহারকে। সে সময় সভাস্থলে আসা নিয়ে আদর্শ সদর উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ দূর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হান্নান সোহেল ও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল বাশার বাদশা মিয়ার লোকজনের তর্ক হয়। এর পর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
স্থানীয় যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম চপল বলেন, ‘ইউপি মেম্বার সোহেল সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক গ্রুপের লোক। টাউন হলে ডাকা গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলে আসার পথে ওর্য়াড আওয়ামী লীগের নেতা আবুল বাশারের উপর হামলা করেন মেম্বার সোহেল। খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। আমাদের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তার মোটরবাইক পুড়িয়ে দেয়।’
ইউপি সদস্য সোহেল বলেন, ‘আমি আমার বন্ধু রাসেলের মোটরবাইকে করে সমাবেশে যাচ্ছিলাম। পথে আবুল বাশার ও তার লোকজন পেছন থেকে আমার দিকে গুলি করে। আমরা পালিয়ে যাই। পরে তারা আমাদের বাইক পুড়িয়ে দেয়।’
কেন এ ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি রেলমন্ত্রী মুজিবের অনুসারী না। আমি বাহাউদ্দিন বাহার ভাইয়ের কর্মী। আমি বাহার ভাইয়ের রাজনীতি করতে গিয়ে গুলিও খেয়েছি।’
ওসি সহিদুর বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। জনসভা শেষ হলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’