বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে: র‌্যাব

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২২ ১৮:১৭

‘রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও পথচারী ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয় না। ফলে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

রাজধানীর চারটি এলাকা থেকে এক রাতে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাই চক্রের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। তাদের বিষয়ে জানাতে বাহিনীটির পক্ষ থেকে করা সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে ছিনতাইকারী চক্র ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

যাদেরকে ধরা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৭ জন একই অপরাধে আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিল বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। বলা হয়েছে, তাদেরকে স্বজন বা অন্যরা ছাড়িয়ে আনার পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই অপরাধে লিপ্ত হয়।

শনিবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা এবং তেজগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩ এর কয়েকটি দল।

যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হলেন: মিজানুর রহমান, মো. সোহেল, মাসুদ রানা, মো. সাব্বির, আবু বকর সিদ্দিক, মো. শাকিল, নাঈম মোল্লা, মো. সালমান, জালাল হোসেন, মো. শাওন, শহিদুল ইসলাম, মো. রফিক, মো. আজিজুর, মো. সৈকত মন্ডল, আরিফ গাজী, মো. জনি, মো. রুবেল, মো. আফজল, দ্বীন ইসলাম, মো. তুহিন, রবিউল আউয়াল হৃদয়, মো. আরমান, সানোয়ার হোসেন, মো. রুবেল, মো. সোহেল, মো. শান্ত, মো. আজাদ, মো. আকাশ, নাইম খান, আপন মিয়া, নাজমুল হোসেন, মাসুম মিয়া, মো. শান্ত, সোহেল মাতব্বর, মো. হৃদয়, মো. সোহরাব ও ইয়াছিন ব্যাপারী।

তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, তিনটি সুইস গিয়ার নাইফ, তিনটি এন্টিকাটার, ১২ টি ব্লেড, একটি কাঁচি, ছয়টি চাকু, তিনটি ক্ষুর, সাতটি বিষাক্ত মলমের কৌটা, দুটি বিষাক্ত স্প্রে এবং ৮ হাজার ১১০ টাকা জব্দ করা হয়।

রোববার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও পথচারী ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয় না। ফলে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের প্রায় সবাই মাদকাসক্ত বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারী সদস্যরা ঘোরাফেরা করতে থাকে। যাত্রীদের টার্গেট করে কখনও তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়, কখনও বিষাক্ত বা চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে তারা।

বিষাক্ত পানীয় সেবন করার বা স্প্রের ঘ্রাণ নেয়ার পর যাত্রীরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে যেত এই চক্রের সদস্যরা। কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে সর্বস্ব কেড়ে নিত তারা।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এছাড়াও ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি গলিতে ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় তারারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের কাজে বাধা দিলে প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধাবোধ করে না।’

ছিনতাইকারীর সংখ্যা কেন বাড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করছে।’

আগে গ্রেপ্তার ১৭ জন কীভাবে ছাড়া পেয়েছে- এমন প্রশ্নে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামিদের পরিবার, বন্ধু ও দলের লোকেরাই তাদের জামিনে ছাড়িয়ে আনছে।’

এ বিভাগের আরো খবর