বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অনুদানের দেড় কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মাদারীপুরের শিবচরের দত্তপাড়ার সূর্যনগর এলাকা থেকে শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ইসমাইল মাতুব্বর ওরফে আসিফ ইকবাল ও সাদ্দাম হোসেন। তাদের মধ্যে ইসমাইল এ চক্রের হোতা বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি জানায়, এর আগেও বিভিন্ন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসমাইল মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনে বের হয়ে এসেও একই ধরনের কাজ করেন তিনি।
গ্রেপ্তারের সময় দুজনের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ও ১৫টি সিম জব্দ করা হয়।
রাজধানীর মালিবাগে রোববার সিআইডি সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার দুজন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট (ভিসা/মাস্টার) কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করতেন। এগুলো ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করেন তারা।
সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাধারণ চিকিৎসা, জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা, শিক্ষাবৃত্তি, যৌথ বিমা ও দাফনের জন্য অনুদানের অর্থ আবেদনকারীদের ব্যাংক হিসাবে ইএফটির মাধ্যমে পাঠানো হয়। ইএফটির এ তালিকা কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
রেজাউল মাসুদ জানান, প্রতারক চক্রটি ওয়েবসাইট থেকে ইএফটির তালিকার তথ্য ব্যবহার করত। তারা বিভিন্ন মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিচয় দিয়ে আবেদনকারীর কাছ থেকে তাদের ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট (মাস্টার/ভিসা) কার্ড নম্বর, সিভিসি, সিভিভি নম্বর সুকৌশলে নিয়ে নিতেন। পরে তা ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে অনুদানের দেড় কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন তারা।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় সাইবার পুলিশ সেন্টারে একটি অভিযোগ আসে। সে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের একপর্যায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।