রাজধানীর গুলশান থানায় হওয়া মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ ৮ নম্বর আদালতের বিচারক বদরুল আলম ভুইয়া তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাপিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করা হয়। ২০২০ সালের ২১ মার্চ গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলাটি করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন সিআইডির আরেক পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।