রাজধানীর রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের সম্পদের অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ সিদ্ধান্তের কথা রোববার হাইকোর্টকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান দুদকের আইনজীবী।
দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তর কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত নোটিশেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
‘ঢাকায় ওসির আট তলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি আদালতের নজরে নিয়ে আসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। পরে আদালত তাকে এ বিষয়ে দুদকে আবেদন করে যেতে বলেন।
আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী দুদকে আবেদন করেন আইনজীবী সুমন। এরপর দুদক ওই ওসির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
দুদকের এ সিদ্ধান্তের কথা রোববার হাইকোর্টকে জানালে হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে দুদকের অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে ছিলেন সায়েদুল হক সুমন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, মনিরুল ঢাকায় আট তলা বাড়ি করেছেন; বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।