প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে মাগুরা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে ছুটে আসেন মাহফুজ নামের এক যুবক। পরে জালিয়াত সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ মাস আগে মাহফুজের সঙ্গে ফেসবুকে মিতা নামে এক তরুণীর পরিচয় হয়। মিতার সঙ্গে দেখা করতেই মাগুরা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে আসেন মাহফুজ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ‘গ’ ইউনিটের গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশ নেন মিতা।
এ বিষয়ে মিতা জানান, শুক্রবার রাতে মাহফুজ তার কাছ থেকে পরীক্ষার রোল এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের তথ্য নেন। তবে তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে দেখা করতে চলে আসবেন- এমনটি জানতেন না।
মাহফুজের বাড়ি মাগুরা জেলার সদর থানার সেজাদিয়া গ্রামে৷ তিনি মাগুরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
মিতার সঙ্গে দেখা করতে একটি নকল প্রবেশপত্রও তৈরি করেন মাহফুজ। এই প্রবেশপত্র দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে মিতার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
পরে পরীক্ষা শুরু হলে তাতে অংশ না নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে জালিয়াত সন্দেহে আটক করা হয়।
মাহফুজ বলেন, ‘আমি মিতাকে ভালোবাসি। ছয় মাসের পরিচয় আমাদের। ফেসবুকে প্রথম দেখায় তাকে আমার ভীষণ ভালো লেগে যায়। অনেকদিনের ইচ্ছা মিতার সঙ্গে দেখা করবো। মূলত প্রেমের টানেই আজ পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এসেছি।’
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম জানান, ভুল তথ্য দেয়ায় মাহফুজকে সন্দেহ হয়। পরীক্ষা শেষে তাদের দুজনকেই অফিসে আনা হয়। কিন্তু তাদেরকে নির্দোষ মনে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, ‘সন্দেহের বশে মাহফুজকে আটক করা হয়। জালিয়াতির প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’