বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাঁচামুক্ত প্রাণীর দাবিতে খাঁচাবন্দি সোহেল

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৫৯

পশু-পাখিপ্রেমী হোসেন সোহেল বলেন, ‘প্রাণীদের খাঁচাবন্দি করে যে নির্যাতন করা হয় তার অবসান চেয়ে এটি আমার প্রতীকী প্রতিবাদ। আমি খাঁচার মধ্যে বসে নিজেকে কষ্ট দিতে চাই। নিজে বুঝতে চাই এবং অন্য সবাইকে বুঝাতে চাই যে খাঁচাবন্দি অবস্থায় কতটা যন্ত্রণা আর কষ্ট পায় পশুপাখিরা।’

প্রাণীদের খাঁচায় বন্দি করে রাখার প্রতিবাদে নিজেই খাঁচাবন্দি হয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন পশুপ্রেমী হোসেন সোহেল।

খাঁচাবন্দি পশুপাখিদের মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুরে মধ্যবয়সী এই মানুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।

হোসেন সোহেল একটি ছোট খাঁচার মধ্যে বসে আছেন। তার উপরে একটা প্লাকার্ডে লাল কালিতে লেখা- মুক্তি চাই। দুপাশে আরও দুটি প্লাকার্ড তিনি সাঁটিয়েছেন।

বাম পাশের প্লাকার্ডে লেখা, ‘খাঁচায় বন্দি না করে আমাকে আমার আবাসস্থলে ফিরে যেতে দাও।’ আর ডান পাশের প্লাকার্ডে লেখা, ‘অ্যানিমলস ডু স্পিক, বাট অনলি টু দোস হু নো হাউ টু লিসেন।’

হোসেন সোহেল বলেন, ‘প্রাণীদের খাঁচাবন্দি করে যে নির্যাতন করা হয় তার অবসান চেয়ে এটি আমার প্রতীকী প্রতিবাদ। আমি খাঁচার মধ্যে বসে নিজেকে কষ্ট দিতে চাই। নিজে বুঝতে চাই এবং অন্য সবাইকে বুঝাতে চাই যে খাঁচাবন্দি অবস্থায় কতটা যন্ত্রণা আর কষ্ট পায় পশুপাখিরা।

‘আমি এখানে তিনদিন ও তিন রাত থাকব। পারবো কি না জানি না, তবে চেষ্টা করব।’

পশু-পাখিপ্রেমী এই ব্যক্তি বলেন, ‘আমার দাবি- সারা দেশে কোনো প্রাণীকেই খাঁচায় বন্দি করে নির্যাতন করা যাবে না। নিষ্ঠুরতা করা যাবে না। যে কনসেপ্ট চিড়িয়াখানার ছিল। এখন তার আর কোনো প্রয়োজন নেই। বনের প্রাণীরা বনেই থাকবে। তাদেরকে খাঁচায় ঢুকিয়ে নির্যাতন করার কোনো কারণ নেই।

‘প্রাণীরা কথা বলতে পারে না বলেই কি তাদের ওপর এই নির্যাতন? পৃথিবী কি শুধু মানুষের জন্য? এই পৃথিবীতে একটা পিঁপড়ারও অধিকার আছে নিজের মতো করে বাঁচার।’

হোসেন সোহেল বলেন, ‘২০১২ সালে বন্যপ্রাণী আইন সংশোধন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে কী কী করবেন আর কী কী করা যাবে না। এরপরও নানাভাবে যার যা খুশি করে যাচ্ছে। খাঁচার মধ্যে প্রাণী ঢুকিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে টাকা কামাচ্ছে আর প্রাণীগুলোকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। এটা অমানবিক আচরণ।

‘প্রতিটি প্রাণীরই পরিবার রয়েছে। আজ আমি যখন এখানে খাঁচায় বন্দি, তখন বাড়িতে থাকা আমার ছেলেটা কান্না করছে। তাহলে চিন্তা করুন, কোনো প্রাণীকে যখন তার সন্তানের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনে খাঁচায় ভরে দেই তখন তার মায়ের কাতরতা কতটুকু, বাচ্চার কষ্ট কতটুকু। একটু মানবিক হওয়ার চেষ্টা তো আমরা করতেই পারি।’

পশুপাখিকে যারা খাঁচায় বন্দি করছেন তাদের সাইকোলজিক্যাল সমস্যা আছে দাবি করে সোহেল বলেন, নইলে কেউ খাঁচাবন্দি ময়না বা শালিক নিয়ে খেলাধুলা করতো না। বরং ‌এটা না করে প্রকৃতির কাছে গিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে উড়ে যাওয়া পাখিদের কলকাকলি দেখুন। নিরেট আনন্দ পাবেন।’

এমন কর্মসূচি ‘হাওয়া’ সিনেমাকে উদ্দেশ্য করে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাওয়া নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার এই কর্মসূচির সঙ্গে সেটার কোনো সম্পর্কও নেই। আমি ওটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।

‘আমি সার্বিকভাবে খাঁচাবন্দি পশুপাখির কথা বলছি। যে শালিক বা ময়না পাখি বন্দি করেছে তাকে বলছি, আর যে চিড়িয়াখানার নামে প্রাণী বন্দি করেছে তাকেও বলছি। আমাদের বদলাতে হবে। আমরা বদলাতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর