২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হয়।
পরীক্ষা দিতে এসে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকেই পরীক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ শুরু করেন। ওই সময় প্রবেশপত্রের ছবি ও চেহারার মিল আছে কি না, তা যাচাই করা হয়।
জবি কেন্দ্রে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৮ হাজার ২৫ জন পরীক্ষা দেন, তবে জবি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ দেন। এ ছাড়াও জবি কেন্দ্রের অধীনে ঢাকার কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ উপকেন্দ্রে ৬ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
দুই উপকেন্দ্রে পরীক্ষা হলেও কিছু শিক্ষার্থী ভুল করে জবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন। সময় থাকায় তাদের আসন বিন্যাস অনুযায়ী উপকেন্দ্রে পাঠানো হয়, তবে শেষ মুহূর্তে সাত শিক্ষার্থী জবি ক্যাম্পাসে ভুল করে এলে সময় না থাকায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব কক্ষে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীদের হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। ওই সময় অভিভাবকদের চিন্তিত হতে দেখা যায়। কেন্দ্রে বসা পরীক্ষার্থীদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন বাইরে বসা বেশিরভাগ অভিভাবক।
পরীক্ষার্থীদের কক্ষ নম্বর খুঁজে দেয়াসহ যাবতীয় তথ্য দেয়ায় সহায়তা করে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, রেঞ্জার টিম ও গার্লস গাইড।
পরীক্ষা কেন্দ্রে শেষ মুহূর্তে নরসিংদী থেকে আসেন খালেদ রহমান। তার মেয়েকে পরীক্ষার জন্য সঙ্গে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘মেয়ের জন্য একটু দুশ্চিন্তা লাগছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, মেয়ের পরীক্ষা যেন ভালো হয়; ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে চান্স পায়।’
রাহেলা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘সদরঘাটের জ্যাম সম্পর্কে আগেই অবগত ছিলাম। তাই পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এসেছি, যাতে যানজটে পড়তে না হয়। ছেলের জন্য বেশ চিন্তা লাগছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের উপকেন্দ্র দুটি খুব বেশি দূরে নয়। শিক্ষার্থীদের উচিত ছিল আগেই সেন্টার নিশ্চিত হওয়া, কিন্তু তারপরেও অনেকেই চলে এসেছে। প্রথমে আমরা অনুমতি দিই নাই এবং সময় থাকায় অনেককেই নির্দিষ্ট উপকেন্দ্রে পাঠানো হয়।
‘তারপরেও শেষের দিকে সাতজন আসায় মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তবে তাদের অ্যাডমিট কার্ডের ছবি তুলে রাখা হয়েছে। তাদের ফলাফল আলাদাভাবে দেখা হবে।’