বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষক দম্পতির রহস্যমৃত্যুতে হত্যা মামলা

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২২ ২৩:২০

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম জানান, নিহত দম্পতির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, পিবিআই সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল কাজ করছে।

গাজীপুরে প্রাইভেটকার থেকে শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে নিহত প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমানের ভাই আতিকুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম।

তিনি জানান, নিহত দম্পতির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, পিবিআই সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল কাজ করছে।

এর আগে ওই দম্পতির ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট বাঁধা রক্ত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক।

শুক্রবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান মো. সাফি মোহাইমেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শিক্ষক দম্পতির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে দুজনেরই ফুসফুস ও কিডনিতে প্রায় একই রকম লক্ষণ পাওয়া গেছে। তাদের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট বাঁধা রক্তের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সাধারণত খাদ্যে বিষক্রিয়া কিংবা অন্য কোনো কারণে এমনটি হতে পারে। এ জন্য নিহতদের পেট, খাদ্যনালি, কিডনি ও ফুসফুসের নমুনা পরীক্ষার জন্য সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেতে কতদিন সময় লাগবে- এমন প্রশ্নে ডা. সাফি মোহাইমেন বলেন, ‘সিআইডি কতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয় সেটা তারাই বলতে পারবে। আপাতত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।’

গত বৃহস্পতিবার ভোরে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ খাইলকুরের বগারটেক এলাকায় নিজেদের প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় শিক্ষক দম্পতির মরদেহ। তারা হলেন- টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান মামুন ও তার স্ত্রী আমজাদ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মাহমুদা আক্তার জলি। তারা গাছা থানার কামারজুরি এলাকায় বসবাস করতেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুকে শুরু থেকেই হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর