বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুবদল নেতা ছুরিকাহত

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২২ ২১:২৫

ছুরিকাহত মেফতা আল রশিদ মিল্টন বলেন, ‘ওখানে জুয়েল ভাই ছিলেন। তার সমর্থক কিছু ছেলে যুবদলের এক কর্মীকে মারধর করছিল। আমি তাদের বাধা দিই। কিন্তু তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করে।’

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ধাক্কা দেয়া নিয়ে হট্টগোলে যুবদলের এক নেতাকে ‍ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আরও এক নেতা মারধরের শিকার হন।

শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শহরের নবাববাড়ী রোডের জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।

ছুরিকাঘাতে আহত মেফতা আল রশিদ মিল্টন শহর যুবদলের সদস্য এবং কাটনারপাড়ার বাসিন্দা। আহত অন্য নেতা হলেন শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রতন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র‌্যালি করে তারা। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সমাপনী বক্তব্য শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল। তার বক্তব্যের সময় সভাস্থলে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময়ই মিল্টন ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে পাশের ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়ে যান অন্য নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় আহত রবিউল ইসলাম রতন বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে সভা থেকে কেউ একজন তাকে কথা সংক্ষেপ করতে বলেন। ওই সময় তাকে ধাক্কা দেয়া হয়েছে বলে জুয়েল প্রতিবাদ করে ওঠেন। এই নিয়েই শুরু।’

রতন জানান, ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে তারা কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে দেখেন, যুবদল নেতা মিল্টনের পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে হামলাকারীরা। এ সময় দুই পক্ষের হট্টগোল থামাতে গিয়ে তিনিও আঘাতের শিকার হন।

মেফতা আল রশিদ মিল্টন বলেন, ‘ওখানে জুয়েল ভাই ছিলেন। তার সমর্থক কিছু ছেলে যুবদলের এক কর্মীকে মারধর করছিল। আমি তাদের বাধা দিই। কিন্তু তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করে।’

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘আমি অসুস্থ অবস্থায় অনুষ্ঠানে যোগ দিই। যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম, তখন কোনো কারণ ছাড়াই যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মুকুল আমার পাঁজরে কনুই দিয়ে গুঁতো দেন। এ ঘটনায় আমি অবাক হয়ে যাই। জানতে চাইলাম- তিনি কেন এমন করলেন? এরপর হট্টগোল হলে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’

ছুরিকাঘাতের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আহ্বায়ক বলেন, ‘আমি তো এমন কিছু জানি না। ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর এ রকম কিছু হতে পারে।’

তবে জুয়েলের অভিযোগ নাকচ করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মুকুল বলেন, ‘এই ঝামেলা আহ্বায়কের পূর্বপরিকল্পিত। দীর্ঘদিন ধরেই দলে এই ঝামেলা হচ্ছে। আজ আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হয়েছে। আনন্দের দিন। এমন দিনেই আহ্বায়কের লোকেরা কেন অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানে আসবে।’

সার্বিক বিষয়ে সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের অনুষ্ঠানে হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে সেখানে কেউ তখন ছিল না। হামলায় জড়িতদের খোঁজখবর চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর