পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ভারতের মন্ত্রিসভার সদস্য কি না, জানতে চেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ।
আবদুস সালাম বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারত এমন এমন কাজ করে তার পরও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য ওনারা এর প্রতিবাদ করেন না। উনি বাংলাদেশের মন্ত্রী না ভারতের মন্ত্রী?’
এই সরকারের অধীনে কেউ নিরাপদ নয় দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে ঘরে বসে থাকলে হবে না।’
এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের বাঁচার কোনো উপায় থাকবে না বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘পানির দাম বাড়াচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। এই সরকার জনগণকে ভাতে মারবে, পানিতে মারবে। জনগণের ওপরেই তাদের আক্রোশ।’
তিনি বলেন, ‘সবাইকে বলতে হবে তেল-গ্যাসের দাম বাড়ল কেন? আমি সবাইকে রাজপথে নেমে আসার জন্য আহ্বান করছি।’
জনগণ রাজপথে না নামলে বিরাট ক্ষতি হবে বলেও মনে করেন সালাম। বলেন, ‘ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার তো গেছে, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে না পারলে এখনও সার্বভৌমত্ব থাকবে না।’
জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং এস এম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, পিপলস লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এনপিপির যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাসানুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব আওলাদ হোসেন শিল্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন মোবারক।