বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এই সরকারকে ভারত রাখবে, কোয়াইট ইম্পসিবল: গয়েশ্বর

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৩৭

‘আমরা যদি নির্বাচন না করি, এই সরকারকে কে রাখবে? ভারত? কোয়াইট ইম্পসিবল।… দেশের সব কিছুর দাম বেড়েছে। শুধু দাম কমেছে আওয়ামী লীগের। ‌দিন যতই যাচ্ছে, ততই আওয়ামী লীগের দাম কমছে। বর্তমান আওয়ামী লীগকে নিলামে তুললে কেউ কিনতে চাইবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বর্তমান সরকারকে ভারত ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না।

শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করার যে বক্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন রেখেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা দূরের কথা, দলটিকে নিলামে তুললেও কেউ নিতে চাইবে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তুমুল আলোচিত বক্তব্যের পরদিন শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন গয়েশ্বর। ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য’ বিষয়ে এই আলোচনার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন।

আগের দিন চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’

অবশ্য পরদিন গোপালগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মন্ত্রী দাবি করেছেন, তার বক্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে। আর এই প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে আবদ্ধ। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। কিন্তু তাই বলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব! এই ধরনের অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা যদি নির্বাচন না করি, এই সরকারকে কে রাখবে? ভারত? কোয়াইট ইম্পসিবল।’

তিনি বলেন, ‘দে‌শের সব কিছুর দাম বে‌ড়ে‌ছে। শুধু দাম ক‌মে‌ছে আওয়ামী লী‌গের। ‌দিন যতই যা‌চ্ছে ততই আওয়ামী লী‌গের দাম কম‌ছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ‌কে নিলা‌মে তুললে কেউ কিনতে চাইবে না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার বলছে, আমরা ষড়যন্ত্র করছি। সরকারকে বিদায় দেয়া ষড়যন্ত্র নয়, এটি দেশের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

‘দেশটা কোনো সেমিনারে স্বাধীন হয়নি, আদালতের রায়ে স্বাধীন হয়নি। দেশ স্বাধীন হয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। সুতরাং, রাজনৈতিক যত সিদ্ধান্ত, সেটা জনগণ নেবে। সেটা আদালত নিতে পারে না। মানুষ কখন সংগ্রাম করে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে, যখন তারা বুঝতে পারে, তারা শোষিত হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের টানা এক যুগের শাসনামলে দেশের মানুষ অধিকারবিহীন দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, আইনের শাসন বিশ্বাস করে না, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

‘জনগণ আজ শোষিত। এই শোষণ কীভাবে হচ্ছে? জনগণের টাকা লুটপাট করে। এই যে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, এসব টাকা জনগণের।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আইন করেছেন, বিদেশ থেকে অবৈধ টাকা আনার জন্য৷ আইন করে কখনও টাকা আনা যায়, এটা আমি শুনিনি। যে দেশের ব্যাংক, সরকার, তারা চাইলে একমাত্র টাকা ফেরত আনা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘ধনী হওয়া অপরাধ না। সৎ পথে ধনী হলে সমস্যা নেই। কিন্তু এই টাকা অবৈধ। এই টাকা যদি দেশে বিনিয়োগ হতো, কর্মসংস্থান হতো।’

আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম সভাপ‌তিত্বে আরও বক্তব‌্য রাখেন বিএন‌পির নির্বাহী ক‌মি‌টির সদস‌্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ।

এ বিভাগের আরো খবর