বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আঘাত পেলে প্রতিরোধ করুন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২২ ১৫:৩৪

হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ আপনাদের, আপনারা কেউ হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। এই দেশের মাটিতে আপনারা জন্মগ্রহণ করেছেন, কেউ আঘাত হানলে প্রতিরোধ করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে থাকবে, সরকার আপনাদের পাশে আছে।’

ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিজের দেশে হীনম্মন্যতায় না ভুগে আঘাত এলে প্রতিঘাত করার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার নগরীর আন্দরকিল্লা জে এম সেন হল থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহা শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। শান্তির দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে কেউ যেন শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে জন্য সব সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ আপনাদের, আপনারা কেউ হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। এই দেশের মাটিতে আপনারা জন্মগ্রহণ করেছেন, কেউ আঘাত হানলে প্রতিরোধ করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে থাকবে, সরকার আপনাদের পাশে আছে।

‘সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল ও পক্ষ আছে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে। তারা নির্বাচন আসলে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, আওয়ামী লীগকে গালাগাল করে বলে আমরা হিন্দুদের দল। আমরা সব মানুষের দল। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সব মানুষের দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ বিরোধীরা) সময়ে সময়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। এই সাম্প্রদায়িক উসকানি যখনই যারা দিয়েছে আমাদের সরকার সব সময় কঠোর হস্তে দমন করেছে। আর নির্বাচনের সময় যারা সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়, মধুর মধুর কথা বলে, তাদেরকে আপনারা চেনেন। সুতরাং সময় আসলে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার বিনীত অনুরোধ জানাই।’

চট্টগ্রামে এই শোভাযাত্রার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘জন্মাষ্টমী উদযাপন চট্টগ্রামে যেভাবে হয় বাংলাদেশের আর কোথাও এভাবে হয় না। ছোটবেলা থেকে এই উৎসবে আমিও শামিল হয়েছি। চট্টগ্রাম ছাড়াও এই উৎসব অনেক জায়গায় হয়, কিন্তু এ রকম জৌলুসপূর্ণ উৎসব কোথাও হয় না। সুতরাং চট্টগ্রামের এই অনুষ্ঠান অবশ্যই জাতীয় অনুষ্ঠান। জাতীয় অনুষ্ঠান বলেই গতকাল প্রধানমন্ত্রী এখানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়েছিলেন।

‘চট্টগ্রামে যখন দুর্গাপূজা হয় এই শহরে কেউ বিমানে কিংবা বাসে আসলে বুঝতে পারে এই শহরে একটি উৎসব চলছে। ঢাকাসহ অন্য শহরে সেটি বোঝা যায় না। এ জন্য চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে আমি গর্ব করি। কারণ, আমরা চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের ১০ টাকা থাকলে আরও ১০ টাকা ধার করে খরচ করি। সে জন্য আমাদের উৎসব অন্যান্য যেকোনো জায়গার তুলনায় অনেক বেশি হয়।’

দুপুরে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জেলার জঙ্গল সলিমপুর ও আশপাশের মৌজার খাস জায়গায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভা শেষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামের ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ৩২০ রোগীদের মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন তিনি।

জন্মাষ্টমী মহাশোভাযাত্রা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মাইকেল দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর