ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের এক ব্যাচের সব শিক্ষার্থীকে সমান নম্বর দিয়েছেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় হিল্লোল ফৌজদার নামের বিভাগীয় ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সাইফুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘‘ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হিল্লোল মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ‘ইন্ট্রোডাকশন টু বিজনেস’ কোর্সটির কোর্স শিক্ষক ছিলেন। এই কোর্সের ইন্টারনাল সর্বমোট ৪০ নম্বরের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২২ জুলাই সব শিক্ষার্থীকে সমান ৩৭ নম্বর করে দিয়েছেন তিনি। তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।’’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবাইকে প্রেজেন্টেশনে ১০ নম্বর দেয়া হয়েছে। ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত না থাকলেও উপস্থিতিতে সবাইকে পূর্ণ ১০ নম্বর করে দেয়া হয়েছে।
‘এ ছাড়া দুটি মিড টার্ম মিলিয়ে সবাইকে ২০ নম্বরের মধ্যে ১৭ নম্বর করে দিয়েছেন আমাদের কোর্স শিক্ষক।’
এভাবে নম্বর দেয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করেন এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘ক্লাসে উপস্থিত না থেকেও অনেক শিক্ষার্থী পূর্ণ ১০ নম্বর পেয়েছেন। এ ফলাফলের কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন।’
এভাবে নম্বর দেয়ার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক হিল্লোল ফৌজদার বলেন, পড়াশোনায় উৎসাহ দিতেই সবাইকে সমান নম্বর দেয়া হয়েছে। তার বর্ণনায়, ‘পড়াশোনায় কেউ যেন উৎসাহ না হারায়, এ জন্য সমান নম্বর দিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে সমালোচনা হবে বুঝতে পারিনি।’
পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের এই পদ্ধতিকে ঠিক মনে করছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করা হয়। সবাইকে সমান নম্বর দিলে পরীক্ষার মূল্যায়ন থাকে না। ফলে এ ধরনের মানবিকতা দেখানো উচিত হয়নি।’