বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালের সিঁড়িতে পাওয়া শিশুটি নিয়ে গেল কারা?

  •    
  • ১৮ আগস্ট, ২০২২ ২২:০৫

শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ইন্টার্ন নার্স আকলিমা খাতুন বলেন, ‘বাচ্চার অভিভাবক পরিচয়ে দুজন নারী কেএমসি ইউনিটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। আমি পাশের কক্ষে রোগী দেখতে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর কেএমসি ইউনিটে ফিরে এসে কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে ওই দুই নারী পরে আসতে বলেন। একটু পর গিয়ে দেখি শিশু এবং ওই দুজন কোথাও নেই।’

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেএমসি ইউনিটে দুই নারী ঢুকে কাউকে কিছু না বলে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত নার্স। তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ ঘটনায় দায় নিতে অস্বীকার করেছেন।

বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শিশু ওয়ার্ডের কেএমসি ইউনিট থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়।

এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের চতুর্থ তলার সিঁড়ি থেকে কন্যাশিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের চতুর্থ তলার সিঁড়িতে কাপড়ে মোড়ানো ছিল একটি নবজাতক। তার কান্না শুনে হাসপাতালে আসা মানুষ জড়ো হন। চার-পাঁচ দিনের শিশুটি শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। ওয়ার্ড বয় রাজু হোসেন শিশুটিকে তুলে নিয়ে পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর মডেল থানা পুলিশকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটির নিরাপত্তার জন্য রাতেই এক নারী কনস্টেবলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে শিশুটির সঙ্গেই ছিলেন ওই নারী কনস্টেবল।

পুলিশ জানায়, রাতেই অক্সিজেনসহ নানা ওষুধ দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলা হয়। তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের কেএমসি ইউনিটে রাখা হয়েছিল। পরদিন এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হেফাজতে শিশুটিকে রেখে চলে আসেন ওই কনস্টেবল।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিশুটিকে হাসপাতালের কেএমসি ইউনিটে দেখা গেলেও দুপুর ১টার পর আর তাকে দেখা যায়নি।

শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ইন্টার্ন নার্স আকলিমা খাতুন বলেন, ‘বাচ্চার অভিভাবক পরিচয়ে দুজন নারী কেএমসি ইউনিটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। আমি পাশের কক্ষে রোগী দেখতে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর কেএমসি ইউনিটে ফিরে এসে কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে ওই দুই নারী পরে আসতে বলেন। একটু পর গিয়ে দেখি শিশু এবং ওই দুজন কোথাও নেই।’

শিশু বিভাগের প্রধান ডা. রতন কুমার সিংহ বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে রাউন্ডে বাচ্চাটিকে দেখার পর একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তারপর বাচ্চাটি কীভাবে নিখোঁজ হলো আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কিছু জানতে হলে তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

নওগাঁ সদর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) রাজিবুল ইসলাম বলেন, একটি শিশু পাওয়া গেছে মর্মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অবগত করে। সেখানে একজন নারী কনস্টেবল পাঠানো হয়েছিল। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে অভিভাবক প্রাপ্তিসাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়ায় বাচ্চাটি তারা হস্তান্তর করবে- এমন লিখিত দিলে বাচ্চাটি তাদের হেফাজতে বুঝিয়ে দিয়ে নারী কনস্টেবল চলে আসেন। বাচ্চা হারানোর ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।’

এ বিষয়ে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, ‘বাচ্চাটিকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বুঝিয়েও দেয়া হয়। আমরা শুধু নিজেদের হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। পরে বাচ্চাটিকে ছাড়পত্র ছাড়াই কে কীভাবে নিয়ে গেছে আমার জানা নেই।’

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বাচ্চাটি চুরি হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল না। বাচ্চা হস্তান্তরের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আমরা শুধু নিজেদের হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। শুনেছি বাচ্চাটির মা ও নানি পরিচয়দানকারী দুজন তাকে নিয়ে চলে গেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর