রাজধানীর মতিঝিলে গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তির পেটে ৩০টি অর্ধগলিত ইয়াবা পাওয়া গেছে। আরও ২০টি ইয়াবা ভালো অবস্থায় পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ৬২ বছর বয়সী সিদ্দিক আহমেদের ময়নাতদন্তের সময় এই ইয়াবার সন্ধান পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক সোহেলী মঞ্জুরী তন্নী।
এর আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের এর উপস্থিতিতে মর্গে সিদ্দিকের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক সুব্রত দেবনাথ।
প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, ‘ভিকটিমের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
বুধবার রাতে মতিঝিল ডিবি পুলিশ সিদ্দিক আহমেদকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে মেডিসিন ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।
গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদ হোসেন বলেন, ‘রমনা থানার মাদক মামলায় বুধবার সিএমএম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তিনি মারা যান।’
নানা সময় প্যাকেটে ইয়াবা ভরে সেগুলো গিলে পেটে করে তা বহনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বহুজন একাজ করতে গিয়ে পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছেন।
চিকিৎসকরা এই প্রবণতাকে বিপজ্জনক বলে থাকেন এই কারণে যে, পেটের ভেতর যদি কোনো প্যাকেট ফেটে যায়, তাহলে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হতে পারে। এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।