ডিবিসির স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও ক্যামেরাপারসন আজাদ আহমেদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ চত্বরে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা জুয়েল ও আজাদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিক্টর ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী কাওসার ভূঁইয়ার ভাই নাজমুল হাসান ভূঁইয়ার মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা এ মামলাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানান।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, কাওসার ও তার সহযোগীরা গত ২ আগস্ট সাংবাদিক জুয়েল ও আজাদের ওপর হামলা চালান। এতে তারা গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় কাওসার ও তার সহযোগীরা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। কারাগারে বসেই তারা দুই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
সমাবেশে বক্তাদের একজন বলেন, সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর কাওসার ও সহযোগীরা দুই সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন। কাওসার বাহিনীর সদস্যরা দুই সাংবাদিকের বাসা ও অফিসের সামনেও মহড়া দিচ্ছেন।
সমাবেশে সাংবাদিক জুয়েল ও আজাদের নামে হওয়া মামলা সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকের করা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দেয়ার দাবিও জানান তারা।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, জুয়েল ও আজাদের নামে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে ক্র্যাব, ডিআরইউ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানানো হয়।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ডিআরইউ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম, র্যাক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক নেতা মাহমুদুর রহমান খোকন, গোলাম মুজতবা ধ্রুব, দিপন দেওয়ান, রুদ্র রাসেল, জিয়া খান, নাদিয়া শারমিন, আবু দাউদ খান, সুশান্ত সাহা, আতাউর রহমান, ইসমাইল হোসেন ইমুসহ অনেকে।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু।