গাজীপুরে নিজেদের প্রাইভেট কার থেকে শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার স্কুল শেষে বের হওয়ার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের।
সদর উপজেলার গাছা থানাধীন বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কীভাবে এ দম্পতির মৃত্যু হলো, তাৎক্ষণিক সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান মামুন ও স্ত্রী আমজাদ আলী স্কুলের সহকারী শিক্ষক মাহমুদা আক্তার ডলি।
শহীদ স্মৃতি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার স্কুলের কার্যক্রম শেষ করে সন্ধ্যা ৬টার পর স্ত্রী মাহমুদা ও মামাতো ভাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে বের হয়ে যান স্যার। রাত ২টার দিকে তার ছেলে মিরাজ ফোন দিয়ে স্যারের বাসায় না ফেরার বিষয়টি জানায়। এরপর ভোরে জানতে পারি স্যার ও তার স্ত্রীর মরদেহ গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
কামরুজ্জামান বলেন, ‘স্কুল থেকে গাড়িতে করে বের হয়ে শহীদ আহসানউল্লাহ ফ্লাইওভারের নিচে আমি নেমে যাই। পরে রাত ১টার দিকে খবর পাই তারা বাসায় যায়নি।’
উপকমিশনার জানান, বুধবার গাছার কামারজুরি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে একই গাড়িতে করে স্কুলের উদ্দেশে বের হন এই শিক্ষক দম্পতি। স্কুল শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা তাদের রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না।
তিনি বলেন, ‘পরে ভোর রাতের দিকে বগারটেক এলাকার একটি নির্জন স্থানে গাড়িতে চালকের আসনে জিয়াউর রহমানের ও পাশেই স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধার করে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।