ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় শিশুকে শাবল দিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তার চাচিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শরীফা আক্তারকে বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ মুখ্য ২ নম্বর আমলি আদালতে তোলা হলে বিচারক মো. আরিফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠান।
নিহত ৫ বছর বয়সী শিশুর নাম আব্দুল্লাহ আল নাফিস।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।
আসামি শরীফার বাড়ি উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের বরুকা নয়নবাড়ি গ্রামে। শিশু নাফিস তার দেবর সোহাগ মিয়ার ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি স্বপন মিয়ার স্ত্রী শরীফার সঙ্গে সোহাগ মিয়া ও তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন শরীফা।
‘গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শরিফা পিঠা বানাচ্ছিলেন। সে সময় নাফিস তার কাছে পিঠা দেখতে গেলে শরিফা তার মাথায় ও মুখে শাবল দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনা দেখে ফেলায় নাফিসের ১১ বছর বয়সী খালাতো ভাই জিহাদকেও শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়।’
ওসি জানান, জিহাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন গিয়ে দুই শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে নাফিসকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালে নাফিসের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নিহতের বাবা শরিফাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় আসামিকে।