রাজধানীর কড়াইলে আল আমিন নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালী কড়াইল বস্তিতে সংঘর্ষের শুরু বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, ‘কড়াইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের যে কমিটি হয়েছে তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুই গ্রুপের মধ্যে এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।
‘আল আমিন নামে একজন মারা গেছেন, তিনি দলীয় পদে ছিলেন না। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।’
ঘটনার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ৭ জনকে। তারা হলেন- মো. নাসির, উজ্জ্বল হোসেন, নুর আলম, আমজাদ হোসেন, ডালিয়া আক্তার, সুমি আক্তার ও মাসুম। তাদের মধ্যে নাসির ও আমজাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আহত প্রত্যেকের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আহতরা জানান, বস্তিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলছিল। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটিতে পদ না পাওয়া নিয়ে সে বিরোধ বাড়ে। বুধবার সন্ধ্যায় তর্কাতর্কির জেরে দুই গ্রুপের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি শুরু করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় রড ও ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা গেছে অনেককে। এক পর্যায়ে নূর মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন অনেকে। সেখানে কুপিয়ে জখম করা হয় কয়েক জনকে।
সংঘর্ষের প্রায় এক ঘণ্টা পর সেখানে পুলিশ পৌঁছে। তখন অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ৩৪ বছর বয়সী আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের চিকিৎসা চলছে। আল আমিনের বাড়ি কুমিল্লা। কড়াইল বস্তিতে তিনি একটি মুদি দোকান চালান। স্থানীয়ভাবে তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।