বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাইরুনের মৃত্যু: ঘুরে-ফিরে আসছে বাইক প্রসঙ্গ

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২২ ২৩:৫০

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, খাইরুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলতেন মামুন। মামুনের সম্মতিতে খাইরুন তার আগের পক্ষের বড় ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে মামুন আর ওই টাকা দিতে দেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল।’

নাটোরে শিক্ষক খাইরুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় ঘুরে-ফিরে সামনে আসছে মোটর সাইকেল প্রসঙ্গ। তার স্বামী কলেজ ছাত্র মামুনের বাইকের দাবি নাকি তার আগের পক্ষের ছেলে বৃন্তের আবদারে সংসারে অশান্তির শুরু? নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যুর ঘটনা? এসব প্রশ্ন নিয়ে চলছে জোর ‌আলোচনা।

রাজশাহীর একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত খাইরুন নাহারের আগের পক্ষের ছেলে সালমান নাফি বৃন্ত বলেন, ‘অনেকের ধারণা আমার মাকে খুন করা হয়েছে। যদি এটা মার্ডার না-ও হয় তাহলে সুইসাইড করার জন্য মাকে উৎসাহ দিয়েছে মামুন। টাকা-পয়সাসহ অনেক বিষয়ে সে মেন্টালি প্রেসারে রাখছিল মাকে।

‘ওই ছেলে (মামুন) বিভিন্ন সময়ে টাকা-পয়সা নিত। সে বাইক কেনার টাকা আম্মুর কাছ থেকে নিয়েছে। সব খরচ নিত। আম্মু আমাকেও একটা বাইক কিনে দেয়ার কথা বলেছিল। মামুন এটা কিনতে দিতে বাধা দিচ্ছিল। এটা নিয়েও ওদের মাঝে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। সে রাতেও মামুনের সাথে আম্মুর ঝগড়া হয়েছিল।’

খাইরুনের খালাতো ভাই নাইম হোসেন বলেন, ‘বিয়ের পর খাইরুন নিজের টাকায় মামুনকে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। মামুন আবারও নতুন মডেলের মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এসব কারণে দুজনের মাঝে মনোমালিন্য হতে থাকে। খাইরুন আত্মহত্যা করলেও এর জন্য একমাত্র মামুনই দায়ী।’

অন্যদিকে মামুন হোসেনের বোন ময়না খাতুন বলেন, ‘ভাই ও ভাবীর মধ্যে কোনোদিন ঝগড়া বিবাদ দেখিনি। ভাবীর বাবার বাড়ি থেকে চাপ ছিল। ভাবীর আগের পক্ষের ছেলে বৃন্ত তার কাছে বাইক কেনার জন্য পাঁচ লাখ টাকা এবং বাড়ি লিখে দেয়ার দাবি করে। আমাদের বিশ্বাস, ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্য, বাপ-মা বিয়ে মেনে না নেয়া- এসব কারণে ভাবী আত্মহত্যা করেছেন।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সম্প্রতি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। খাইরুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলতেন মামুন। মামুনের সম্মতিতে খাইরুন তার আগের পক্ষের বড় ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে মামুন আর ওই টাকা দিতে দেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল।’

প্রসঙ্গত, ৪০ বছর বয়সী কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহার ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সী মামুনকে।

স্থানীয় পৌর এলাকার বাসিন্দা খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। প্রথম স্বামীর দুটি সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি।

২০২০ সালে তাদের বিচ্ছেদ হওয়ার পর কেটে যায় দীর্ঘদিন। এরই মাঝে ফেসবুকে খায়রুন নাহারের পরিচয় হয় ২২ বছরের তরুণ মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ফেসবুকে পরিচয় থেকে দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয় হয়। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে তারা বিয়ে করেন।

গত রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া থেকে কলেজ শিক্ষক খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী মামুন হোসেন কারাগারে রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর