ময়মনসিংহের ফুলপুরে শাহজাহান শাজু নামে এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ৪৪ ড্রাম সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এগুলো ছিনতাই করা তেল।
শাহজাহান সাজু উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলালের ভাই।
বড় চিলাগাই এলাকায় সাজুর দোকান থেকে মঙ্গলবার রাতে তেলের ড্রামগুলো জব্দ করা হয় বলে বুধবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ফুলপুর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ১১ হাজার ১৬০ লিটার তেলের ৬০টি ড্রাম কেনেন গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকার এক ব্যবসায়ী। ওই রাতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফারুক মিয়া তেল ট্রাকে লোড করে রূপগঞ্জ পর্যন্ত যেতেই একটি প্রাইভেট কার ট্রাকের পথরোধ করে।
‘প্রাইভেট কারে থাকা কয়েকজন ট্রাকে উঠে ম্যানেজার ফারুক মিয়া, ট্রাকচালক রুহান মিয়া ও সহকারীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে প্রাইভেট কারে নিয়ে আটকে রাখে। ছিনতাইকারীদের একজন ট্রাক চালিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে আসেন। সেখানে ট্রাক থেকে তেল অন্য ট্রাকে নিয়ে ম্যানেজার, প্রাইভেট কারের চালক ও সহকারীকে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যান।’
ওসি জানান, পরদিন ভোরে ম্যানেজার ফারুক মিয়া ত্রিশাল থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে খালি ট্রাকটি জব্দ করে। অনুসন্ধানের পর ত্রিশাল থানা পুলিশ ফুলপুর থানায় ঘটনা জানালে রাতে সাজুর দোকানে অভিযান চালিয়ে ৪৪ ড্রামে ৮ হাজার ১৮৪ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়।
ওসি বলেন, ‘দোকানদার সাজু জানিয়েছেন এগুলো ছিনতাই করা তেল কি না জানেন না তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছি, ছিনতাইকারী শেরপুরের নকলা উপজেলার বাসিন্দা। তার নামে তেল ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা আছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এরপর বাকি তেলের সন্ধান মিলবে।’
দোকানমালিক শাহজাহান শাজু বলেন, ‘শেরপুরের নকলা উপজেলার এক পরিচিত লোক দোকানে এসে বলেছিলেন ড্রামভর্তি তেলগুলো তার। পরে এসে তিনি তেল নিয়ে যাবেন। কিন্তু এগুলো ছিনতাই করা তেল বুঝতে না পেরে দোকানের গোডাউনে রাখতে দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলালের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি। নিউজবাংলার পরিচয় দিয়ে এসএমএস দিলেও উত্তর দেননি তিনি।