খাবারের নিম্নমান এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘট ৮ ঘণ্টা পর তুলে নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনার পর হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ধর্মঘট তুলে নিলে চালু হয় খাবারের দোকানগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. সেলিম মুন্সি।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন আমাদের দুই মাস সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে কুয়াকাটার সব খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁর পরিবেশ উন্নত করা ও মানসম্মত খাবার পরিবেশনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুরো বিষয়টি তদারক করবেন।
‘এর ফলে খাবারের মান ও পরিবেশ নিয়ে পর্যটকের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। আশা করি আমাদের সব মালিক জেলা প্রশাসনের দেয়া নিয়মগুলোর প্রতি সচেষ্ট থাকবেন। পর্যটকবান্ধব খাবার হোটেল করতে পারলে আমাদেরই ভালো।’
এর আগে ধর্মঘট ডাকার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন ম্যাজিস্ট্রেট খাবার হেটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। একই হোটেলে একাধিকবার জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বুধবার সকালে বলেন, ‘গত ১১ আগস্ট আল-মদিনা নামের একটি হোটেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তখন ওই হোটেল মালিক তার সমস্যা সমাধানে ১৫ দিন সময় চেয়ে নেন; কিন্তু গতকাল (মঙ্গলবার) আবার ওই হোটেলেই ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
‘মালিক জরিমানা না দিতে পারায় তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা ধার করে টাকা এনে তাকে ছাড়িয়ে নেন।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের হয়রানির অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বন্ধ রাখা হয় উপজেলার সব খাবারের হোটেল ও রেস্তোরাঁ।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত শহীদুল্লাহ নিউজবাংলাকে সকালে বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি বাড়ছে। এখানকার হোটেলগুলোর খাবারের মান নিয়ে পর্যটকরা প্রশ্ন তুলেছেন। পচা-বাসি খাবার দেয়া, অতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগ তুলেছেন।
‘পর্যটকদের সেবার মান অক্ষুণ্ন রাখতে, খাবার হোটেলগুলোতে মানসম্মত খাবার পরিবেশন, তাদের সঙ্গে পর্যটকবান্ধব আচরণ করতে হবে। মূলত আমরা এসব নিয়েই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।’