রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। এ সময় রুবেল নামে আরেকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই মো. সুমন বলেন, ‘আমার ভাই যাত্রাবাড়ীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ইউনিটের সভাপতি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ ফারুক সড়কে বনফুল মিষ্টির দোকানের সামনে ভাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ৫/৭ জন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরির আঘাতে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মো. সুমন বলেন, ‘এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ফাহিম ও সাইফুলসহ কয়েকজন এই হামলা চালিয়েছে। ফুটপাতে চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় ওরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।’
আবু বক্কর সিদ্দিক রাজনীতির পাশাপাশি কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তিনি দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর টানপাড়া এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন। তিনি তিন মেয়ের জনক। স্ত্রীর নাম সাবিনা আক্তার। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায়। বাবার নাম আলী আহাম্মদ। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রুবেল নামে আরেকজন আহত হয়েছেন। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানাকে জানানো হয়েছে।