বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের মামলায় দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শিবগঞ্জের মেদিনীপাড়া থেকে আটকের পর মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণের মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে তোলা হয়।
আসামিরা হলেন গফুর প্রামাণিক ও জাহিদ মণ্ডল মিলন।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আইনুল হক।
তিনি জানান, মামলার বাদী তরুণীর বাড়ি নেত্রকোণায়; তিনি পোশাক শ্রমিক। মোবাইল ফোনে আসামি গফুরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৩ আগস্ট গফুরের সঙ্গে দেখা করতে তিনি বগুড়ায় আসেন।
এজাহারের বরাতে এসআই জানান, গফুরই মেয়েটিকে বগুড়া আসতে বলেন। গত শনিবার মেয়েটি এলে তাকে নিয়ে বন্ধু সিরাজুলের বাড়িতে ওঠেন গফুর। সেখানে রাতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরদিন সকালে গফুর চলে যাওয়ার পর সিরাজুল ও মিলন নামে আরেকজন সেখানে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার চিৎকারে ভয় পেয়ে তারা পালিয়ে যান।
এজাহারে আরও বলা হয়, দুপুরে গফুর ওই বাড়িতে গিয়ে সব শুনে তরুণীকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তবে মেয়েটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সুস্থ হয়ে সোমবার গফুরের বাড়িতে গিয়ে তরুণী জানতে পারেন তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।
এসআই বলেন, সোমবার রাতে পোশাক শ্রমিক তরুণী থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। রাতেই গফুর ও মিলনকে আটক করা হয়। পরদিন সকালে তরুণী তিনজনের নামে মামলা করেন।