বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিইউবিতে শোক দিবসের আলোচনা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ আগস্ট, ২০২২ ২১:২২

ড. নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশেরই জন্ম হতো না। আজকের এই কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি জীবনেও হতো না। ওই পাকিস্তানিদের অধীনে ছোট্ট কোনো চাকরি করেই আমাদের সবার জীবন যেত।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার সকালে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সভায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সিইউবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘বিবিসির জরিপ অনুযায়ী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ তিনি পুরো জীবন আত্মত্যাগ করেছেন। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য তিনি জীবনের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ সময় জেল খেটেছেন।’

তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। নইলে আমরা যতই আধুনিক ও ফ্যাশনেবল হই না কেন, তার কোনো মূল্য থাকবে না। একজন ব্যক্তি পুরো সমাজকে বদলে দিতে পারেন। সে রকমই একজন মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার মধ্যে ছিল ক্যারিশমা এবং তিনি ছিলেন একজন সত্যিকার অর্থে ক্যারিশম্যাটিক লিডার। তার অঙ্গুলি হেলনে সাড়ে সাত কোটি মানুষ যুদ্ধে নেমেছিল।’

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সিইউবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। ছবি: নিউজবাংলা

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা-পরবর্তী সময়ে দেশের চিত্রও উঠে আসে অধ্যাপক জিয়া রহমানের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না- এমন আইন করা হয়েছিল। কতটা জঘন্য এই কাজ। যে মানুষটি এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন; মানুষের মুক্তি এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে; তার হত্যাকারীদের, খুনিদের বিচার করা যাবে না। সেটিও আবার সংসদে পাস করে আইন করা হয়েছিল।’

সমাপনী বক্তব্যে ড. নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশেরই জন্ম হতো না। আজকের এই কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি জীবনেও হতো না। ওই পাকিস্তানিদের অধীনে ছোট্ট কোনো চাকরি করেই আমাদের সবার জীবন যেত।’

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কথা উল্লেখ করে ড. নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম ন্যক্কারজনক ঘটনা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে ১০ বছরের ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও ওরা রেহাই দেয়নি।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েও ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকতেন। তিনি এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, কোনোভাবেই তাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাকে বলা হয়েছিল- সিকিউরিটির জন্য আপনার গণভবনে থাকা দরকার। কিন্তু ওনার বিশ্বাস ছিল যে এ দেশের মানুষ তাকে মারতে পারে না।’

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘পুরো পৃথিবীতে এখন এক ধরনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা বিরাজ করছে। সারা দুনিয়া সাফার করছে, আমরাও কিছুটা সাফার করছি। তার পরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সব ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটার আগেই চিন্তা করে সংশোধন করে দিচ্ছেন।’

নাফিজ সরাফাত আরও বলেন, ‘ডলারের দাম পড়তে শুরু করেছে। দেশ মোটেও রিস্কে নেই। পুরো দুনিয়াতে তিন সপ্তাহের খাবারের জোগান থাকলে তারা খুশি থাকে। সেখানে আমাদের ৯ মাসের খাবার জোগানের সক্ষমতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে।

‘আমাদের বর্তমান রিজার্ভেও ছয় মাসের খাবারের জোগান দিতে পারব। সুতরাং দেশ সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। তা সত্ত্বেও নেতিবাচক নানা প্রচারসহ দেশ একেবারে অচল করে দেয়ার বিভিন্ন রকম আয়োজন চলছে।’

আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর