গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় মালিকসহ ১১ জন জেলে নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া থেকে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায় এফবি ফাতেমা নামে একটি ট্রলার। এর পর থেকেই উপকূলের সঙ্গে ওই ট্রলারের সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
নিখোঁজ সেই ট্রলারের সন্ধান মিলল এবার ভারতের চব্বিশ পরগনায়। সোমবার রাতে ভারতীয় ওই জেলার একটি স্থানীয় বাজার থেকে স্বজনদের কাছে ফোন করেন ট্রলারের মালিক শামসুল হক মাতুব্বর।
তিনি জানান, ভারতীয় একটি চর এলাকায় ভেসে গিয়ে স্থানীয়দের লুটপাট আর মারধরের শিকার হয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
মোস্তফা জানান, নিম্নচাপের কারণে গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে শামসুল হক মাতুব্বরের ট্রলারটি ভারতীয় সীমান্তে চলে যায়। বর্তমানে মাঝি-মাল্লাসহ ওই ট্রলারটি ভারতীয় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
ট্রলার মালিকের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরও জানান, আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলে ট্রলারটি ঘাটে ফিরে আসছিল। কিন্তু ঝড়ো আবহাওয়ায় তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে ভাসতে ভাসতে ভারতের চব্বিশ পরগনার ছোট মোল্লাখালীর একটি চরে গিয়ে আটকে যায় ট্রলারটি।
এ সময় সেখানকার স্থানীয়রা ট্রলারের মাছ, জাল-দড়িসহ সব রসদ লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, জেলেদের মারধরও করে ওই লুটেরারা এবং তাদের স্বজনদের কাছে ফোন করে জনপ্রতি ১২ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
স্বজনরা যথাসময়ে টাকা দিতে না পারায় ১১ জেলেকে চব্বিশ পরগনার পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার জানান, পাথরঘাটা থানায় নিখোঁজ ১১ জেলের নাম উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এদের উদ্ধারে ট্রলার মালিক সমিতির মাধ্যমে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’