বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনা একান্ত জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৫৬

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সেগুলোকে সহনীয় পর্যায়ে কীভাবে নিয়ে আসতে পারি সে ব্যবস্থা নেয়া একান্তভাবে জরুরি বলে আমি মনে করি। নিম্নবিত্ত বা ফিক্সড ইনকাম যাদের, নির্দিষ্ট আয়ে যাদের চলতে হয় তাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের মানুষ কষ্ট পেলে সেই কষ্ট আমাকেও ছুঁয়ে যায়। তাই নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার শুরুতে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। তিনি গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলোকে সহনীয় পর্যায়ে কীভাবে নিয়ে আসতে পারি সেই ব্যবস্থা নেয়া একান্তভাবে জরুরি বলে আমি মনে করি। কারণ মানুষের জন্যই রাজনীতি করি। মানুষ কষ্ট পেলে আমারও কষ্ট হয়।

‘নিম্নবিত্ত বা ফিক্সড ইনকাম যাদের, নির্দিষ্ট আয়ে যাদের চলতে হয় তাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি।’

সাধারণ মানুষের কষ্ট কমাতে ১৫ টাকা কেজিতে ৫০ লাখ মানুষকে চাল কেনার সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি প্রায় এক কোটি ‘বিশেষ পারিবারিক কার্ড’ দিয়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে সরকারের নেয়া উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এ ধরনের আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, সাধারণ মানুষগুলো কষ্ট না পায়।’

দেশ যখন এগিয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ যখন ভাল থাকে তখনই দেশে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়ে যায় বলেও দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।

‘যখনই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় এবং একটু ভালোর দিকে যায় তখনই নানারকম শঙ্কার সৃষ্টি হয়। তখন এটাকে থামিয়ে দেয়ার জন্য নানারকম চক্রান্তও শুরু হয়ে যায়। এবার মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে অবরোধ আরোপের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে দেখা গেল আমাদের কেনার সামর্থ্য থাকতেও সবকিছু ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেল।’

নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে না রেখে সবাইকে কিছু না কিছু উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু-কন্যা।

এ বিভাগের আরো খবর