বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৃত্যুর পর জানা গেল রুবেলের ৭ স্ত্রী

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৫৪

হাসপাতালে পাশে থাকা এক নারীকে দেখিয়ে রুবেলের মেয়ে রত্না বলেন, ‘উনি আমার আব্বুর বউ। আরেকজন আছে, এখন পরিচয় দিচ্ছে না। আমি ওনার বাসায় গেছি, আমার আব্বুর সাথে। ওনার বাসায় আমাকে নিয়ে গেছে, ওনার সাথে আমি থাকছি, এখন উনি পরিচয় দিতে চাইতেছে না যে আমি তোমার আব্বুর ওয়াইফ।’ মোট কতজনের কথা জানেন- এমন প্রশ্নে রত্না বলেন, ‘আমার জানামতে এই আন্টি, হৃদয়ের মা, রেহানা আন্টি, শাহিদা আন্টি, পারুল আন্টি, আরেকজন আছে উনি এখানে নাম বলতে মানা করছেন। আরেকজন এখানে এসে আমি শুনছি। ওনার নাম আমি কোনো দিন শুনিও নাই, দেখিও নাই।’

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট- বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের বক্স গার্ডার চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত আইয়ুব হোসেন রুবেলের স্ত্রীর দাবি নিয়ে মরদেহ নিতে হাসপাতালে ভিড় করেছেন মোট সাত জন। আরও এক স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে।

রত্না নামে রুবেলের মেয়ে পরিচয় দিয়ে একজন তার বাবার ছয় স্ত্রীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাকি একজনকে চেনেন না জানিয়েছেন। বলেছেন, তার মায়ের সঙ্গে রুবেলের বিচ্ছেদ হয়েছে।

আলোচিত এই দুর্ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার নিহত পাঁচজনের ময়নাতদন্ত হয় রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

দুপুরের আগে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্ত হয়ে গেছে। এখন লাশ হস্তান্তর করবে। আর এ কাজটি করবে উত্তরা পশ্চিম থানা।’

বেলা ৩টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন জানান, রুবেলের মরদেহ কার কাছে হস্তান্তর করা হবে, তা এখনও নির্ধারণ হয়নি।’

কেন এই সিদ্ধান্তহীনতা- সে বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, একাধিক নারী এসে নিজেদের রুবেলের স্ত্রীর দাবি করছেন।

মোট কতজন নারী স্ত্রী দাবি করে মরদেহ নিতে চাইছেন- জানতে চাইলে মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা শুনেছি দুইজন এসেছেন। ওখানকার দায়িত্বশীল যারা আছেন, তারা পরিচয় শনাক্ত করে লাশ হস্তান্তরের ব্যবস্থা করছেন।’

তবে সংখ্যাটি দুইয়ের অধিক বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ মোহসীন। বলেন, ‘সেখানে আমাদের লোকজন আছেন। সেখান পাঁচজনের মরদেহ আছে। এর মধ্যে চারজনের মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু একজনের একাধিক স্ত্রী আসায় কার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

ঘটনাস্থলে যান রুবেলের মেয়ে পরিচয় দেয়া রত্না নামে এক তরুণীর কাছ থেকে জানা যায় সাতজনের কথা।

তিনি জানান, তার মায়ের সঙ্গে বাবার বিচ্ছেদ হওয়ার পর যোগাযোগ ছিল না। এর মধ্যে দুর্ঘটনার মৃত্যুর কথা জেনে তিনি সেখানে এসেছেন।

রুবেলের স্ত্রী পরিচয়ে আসা পাঁচজন নারীর নাম উল্লেখ করেন রত্না। বলেন আরও একজন আছেন যিনি নাম বলতে নিষেধ করেছেন।

রত্মা এও জানান, আরও এক নারী নিজেকে রুবেলের স্ত্রী দাবি করছেন, তবে তার কথা তিনি জানেন না আর কখনও দেখেনওনি।

সোমবার চাপা পড়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আইয়ুব হোসেন রুবেলই। থাকতেন বিমানবন্দর সড়কের কাওলা এলাকায়।

তার ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে রিয়া মনি নামে এক তরুণীর বিয়ে হয়েছে শনিবার। সোমবার ছিল বৌভাত। এই অনুষ্ঠান শেষে রিয়া মনির স্বজনরা জামাতাকে আশুলিয়ার বাড়িতে অতিথি করে নিয়ে যেতে আসেন।

রুবেলই গাড়িতে করে তাদের এগিয়ে দিতে চান। সঙ্গে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা, খালা এবং খালাতো ভাই ও বোন।

হৃদয় ও রিয়া বেঁচে গেলেও মারা যান বাকি সবাই।

যা বললেন মেয়ে

হাসপাতালে পাশে থাকা এক নারীকে দেখিয়ে রুবেলের মেয়ে রত্না বলেন, ‘উনি আমার আব্বুর বউ। আরেকজন আছে, এখন পরিচয় দিচ্ছে না। আমি ওনার বাসায় গেছি, আমার আব্বুর সাথে। ওনার বাসায় আমাকে নিয়ে গেছে, ওনার সাথে আমি থাকছি, এখন উনি পরিচয় দিতে চাইতেছে না যে আমি তোমার আব্বুর ওয়াইফ।’

মোট কতজনের কথা জানেন- এমন প্রশ্নে রত্না বলেন, ‘আমার জানামতে এই আন্টি, হৃদয়ের মা, রেহানা আন্টি, শাহিদা আন্টি, পারুল আন্টি, আরেকজন আছেন ওনি এখানে নাম বলতে মানা করছেন।

আইয়ুব হোসেন রুবেলের এক মেয়ে রত্না। ছবি: সংগৃহীত

‘আরেকজন এখানে এসে আমি শুনছি। ওনার নাম আমি কোনো দিন শুনিও নাই, দেখিও নাই।’

রত্মা জানান, কয়েক বছর তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। দুই মাস আগে দেশে ফেরার পর ফোনে কথা হয় বাবার সঙ্গে। সেদিন ঝগড়ার পর আর কথা হয়নি।

সোমবার দুর্ঘটনার পর রত্নার চাচাতো ভাই সাইফুল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার পর বাবার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন রত্নাও। এরপর তিনিই রুবেলের স্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সাত বছর পর অনেক স্ত্রীর তথ্য জেনেছেন পুতুল

সালমা আক্তার পুতুল নামে একজন বলেন, ‘এক আপুর সাথে আমার পরিচয় ছিল। ওই আপু আমাকে পরিচয় করিয়ে দিছে। বলছে, উনি বিয়ে করবে ওনার ওয়াইফ অসুস্থ। ওনার বউ দরকার। আমার হাসব্যান্ড তখন ছিল না। আমার হাসব্যান্ডের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে। তখন কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে রাজি হইছি।

‘২০১৪ সালে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের বিয়ের কিন্তু কাজি রেজিস্ট্রি ছিল না। মৌখিকভাবে বিয়ে করছে। এক বছর-দুই বছর করতে করতে ২১ সালে এসে শুনি ওনার এতগুলো বউ। আমি ফেসবুক চালাইতাম না। ফেসবুক চালাতে গিয়া ওনার সাথে অ্যাড যাদের যাদের আছে, তাদের অ্যাড করতে যেয়ে অনেকগুলো বউ বের হয়েছে।

‘তখন আমার মাথা নষ্ট, আমি অনেক রাগারাগি করছি। কোনো বউ স্বীকার করে না। পরে লাস্টে আমি উকিলের সঙ্গে কথা বলে মামলা করছি।’

অন্য এক প্রশ্নে পুতুল বলেন, ‘উনি প্রতি সপ্তাহে এক দিন একেক জনের বাসায় ঘুমাইত।’

বিয়ের সাত বছর পর রুবেলের আরও স্ত্রী রয়েছে জেনে মামলা করেন সালমা আক্তার পুতুল নামের এই নারী। ছবি: সংগৃহীত

তিনি জানান, রুবেল তার কাছ থেকে ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন জমি কিনে দেবেন বলে। কিন্তু টাকা দেননি। এরপর সব অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে বিয়ের কথাও অস্বীকার করে বলেন, বিয়ের কোনো কাগজ নেই। এই কথা বলার পরই তিনি মামলা করেন।

অন্য একজন স্ত্রী আছে জানতেন তিনি

অন্য এক নারী নিজেকে রুবেলের স্ত্রী দাবি করার পর গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চান, তিনি একাই স্ত্রী ভাবতেন কি না। তখন সেই নারী জানালেন, অন্য এক স্ত্রী আছে বলে জানতেন।

-রুবেলের সঙ্গে তার পরিচয় কত দিনের।

সেই নারী বলেন, ‘অনেক দিন।’

-আপনি কী চান?

সেই নারী বলেন, ‘আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নাই। আমার গার্জিয়ান আছে বড়। তারা যেটা মনে করে, সেটাই আমি রাজি, আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নাই।’

-দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া হৃদয়ের সঙ্গে বা অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না?

সেই নারী বলেন, ‘আমি ওদেরকে চিনি না। এই ফার্স্ট টাইম ওদেরকে দেখছি। এক যুগের মধ্যে ফার্স্ট আমি দেখছি। আমি ওদেরকে চিনি না।’

-আপনি জানতেন আপনি একা?

রুবেলের স্ত্রী দাবিদার এই নারী জানতেন তিনি ছাড়া রুবেলের আরও এক স্ত্রী আছে। ছবি: সংগৃহীত

সেই নারী বলেন, ‘না না না, আরেকজন আছেন রত্নার আম্মু, ওনাকে আমি চিনতাম। ওনার বাসায় গেছি, আইছি।’

-আপনার সঙ্গে হাসব্যান্ডের লাস্ট কবে দেখা হয়েছে?

সেই নারী বলেন, ‘আমার সাথে তো কালকেই… আমার ঘর থেকে আসছে, বাসা থেইক্যা।’

-আপনার কোনো ছেলেমেয়ে আছে?

সেই নারী বলেন, ‘ছেলেমেয়ে তো আছে অবশ্যই। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে।

আরও প্রশ্ন করতে থাকলে সেই নারী বলেন, ‘ভাই আমি আর কিছু বলতে চাই না। ভাই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।’

মানিকগঞ্জের শাহিদা জানান, তাদের বিয়ে ’৯৯ সালে

সেখানে মানিকগঞ্জ থেকে আসা শাহিদা খানম নামে অন্য এক নারী বলেন, ‘তাকে কত সালে বিয়া করছে, তার কোনো কাগজপত্র আছে কি না, আমার তো কাবিনের কাজগপত্র আছে। একজনে বউ দাবি করলেই… একজন রাস্তা থেকে ব্ল্যাকমেইল করে যে সে আমার হাসব্যান্ড। কিন্তু ডকুমেন্টস থাকতে হইব। আমার সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট আছে।

‘আমার বিয়া হইছে ১৭-৮-১৯৯৯। এর মধ্যে এলাকার কেউ বলতে পারব না স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো কিছু নিয়া ঝগড়া হইছে।’

আইয়ুব হোসেন রুবেল কি ঢাকায় থাকতেন?

শাহিদা বলেন, ‘না, না, না, আমার স্বামী গ্রামে থাকে। ঢাকায় উনি আসছিল, ব্যবসা করে। প্রতিদিন যায়। …বৃহস্পতিবার দিন আসছে আবার বৃহস্পতিবার দিন গেছে। আবার শনিবার দিন আসছে। শুক্রবার দিন আমার বাসায়।

‘শনিবার দিন বলল, উত্তরায় একটা পার্টি আছে। আবার ১৫ আগস্ট কালকে। বলল কী, ওখানে আমার একটা অনুষ্ঠান আছে। আমি অনুষ্ঠানে থাকব। আমার গাড়ি চাইছে আমি গাড়ি দিব না। আমি নিজে ড্রাইভ করব।’

মানিকগঞ্জের সাহিদা খানম নামে এই নারী জানান, রুবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৯৯ সালে। অন্য স্ত্রীর কথা জানতেন না। ছবি: সংগৃহীত

শাহিদা জানান, বেলা ২টার সময় ফোনে তার সঙ্গে কথা হয় রুবেলের। বলেন ২ ঘণ্টা পরেই তিনি আসছেন।

এ সময় শাহিদা হাতে থাকা মোবাইল ফোন দেখিয়ে বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক ছবি আছে। আমরা অনেক জায়গায় ঘুরতে গেছি।’

এরপর নিজের হাতের মোবাইল ফোনে থাকা ছবি দেখাতে থাকেন। তখন সেই নারীর মেয়ে বলেন, ‘আমি নিজে ভিডিও করছি।’

সেই মেয়ে বলেন, ‘পরশু দিন শনিবার ঢাকায় যায়। বলছে কি তার একটা মিলাদ না কী যেন আছে। সেখানে তার থাকতে হবে। আমরা তো নরমালি যেভাবে বাসায় থাকি, সেভাবে থাকতাম। তারপর খবর আসছে বাবা নাই।

শাহিদার ছেলের সঙ্গে দুপুর পর্যন্ত, এরপর আরেক পক্ষের ছেলে হৃদয়ের বৌভাতে

রুবেলের ছেলে পরিচয় দিয়ে এক তরুণ বলেন, ‘আমার মাকে আমার বাবা ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেছিল। আমি তখন অনেক ছোট। আমি আগের সংসারের।’

রুবেলের আগের বিয়ের তথ্য জানতে পারার কথাও জানান এই তরুণ। তবে রুবেল সেটি স্বীকার করেননি।

সেই তরুণ বলেন, ‘আব্বুর আগে বিয়ে হয়েছিল। সেই ব্যাপারটায় আমরা আংশিক ছিলাম, ক্লিয়ার ছিলাম না। আব্বু আমাদের কখনও বলে নাই, কখনও স্বীকার করে নাই। ইভেন ওই ফ্যামিলি থেকে আমাদের ইনবক্স করা হতো, নানা ধরনের মেসেজ দিত। আব্বু বলত, এইগুলো প্রশ্রয় দিও না, ব্লক করে দাও।

‘তাদের সঙ্গে আমাদের কখনও দেখা হয় নাই।’

এই তরুণ জানান, আইয়ুব হোসেন রুবেল মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ডুপ্লেক্স বাড়ি করছেন। ২২ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছেন। আরও বেশ কিছু সহায়-সম্পত্তি করেছেন।

সেই তরুণ এও জানান, সোমবার দুপুর পর্যন্ত তিনি রুবেলের সঙ্গে ছিলেন। রুবেল তাকে তখন অন্য একটা কাজের কথা বলে হৃদয়ের বৌভাতে যান।

তিনি বলেন, ‘যেদিন আব্বু দুর্ঘটনায় পতিত হন, সেদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত আব্বু আমার সাথে। ২টার সময় আব্বুকে বিদায় দিই। বিদায় দেয়ার পর আমি একজনকে গাবতলীতে আগায় দিতে গেছি। এরপর যে কাজটার জন্য আব্বুকে ডাকছিলাম, ওইটার জন্য ব্যস্ত হয়ে যাই।

‘আব্বু আমাকে বলছে বনানীতে একটা প্রোগ্রাম আছে। সাম হাউ আমাদেরকে মিথ্যা কথা বলছিল। বিকালের পর একটা অ্যাকসিডেন্টের ছবি দেখেছি, আমরা গায়ে মাখি নাই। আব্বু বনানীতে, উত্তরায় হয়েছে, অন্য একটা ইনটেনশনে ছিলাম, আমি খেয়াল করি নাই।

‘যখন আম্মু আমাকে সাড়ে ৭টা নাগাদ ফোন দিয়া বলতেছে, আমি তোর আব্বুর নামে এটা ওটা শুনতেছি। তোর আব্বু তো মনে হয় আর নাই। আব্বুর কাছে তাড়াতাড়ি যা।’

এরপর সেই তরুণ উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে গাড়িতে থাকা হৃদয় ও তার স্ত্রীকে দেখতে পান। তাদের সঙ্গে কথাও বলে আসেন।

সেই তরুণ বলেন, ‘আব্বু যখন আমার কাছ থেকে বিদায় নিল, তখন আব্বু মেইনলি যাচ্ছিল আগের ঘরে যে সন্তান আছে, ওনার বৌভাত নাকি ছিল। ওনার বউকে আনার জন্য নাকি গিয়েছিল।’

হৃদয়ের বাবা হিসেবে গণমাধ্যমে পরিচয় আসায় ‍কিছুটা মনক্ষুণ্ণ এই তরুণ। বলেন, ‘তাদের ইহজীবনে কোনো নাম-গন্ধ ছিল না। অ্যাকসিডেন্টের পর যেটা হয়েছে, তারাই এখন মেইন ফ্যামিলি হয়ে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর