বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যু, রিট করতে বলল হাইকোর্ট

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২২ ১২:০৯

আইনজীবী শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘গার্ডার পড়ে নিরীহ ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং নির্মাণাধীন এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে আদালতের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করি। আদালত লিখিত নিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা লিখিত আবেদন নিয়ে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্টের অংশ বা বক্স গার্ডার পড়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রিট করতে বলেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ পরামর্শ দেয়।

বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্লাস্ট এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল ও শাহিনুজ্জামান।

তখন আদালত বিষয়টি নিয়ে রিট করার পরামর্শ দেয়।

আইনজীবী শাহিনুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গার্ডার পড়ে নিরীহ ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং নির্মাণাধীন এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে আদালতের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করি। আদালত লিখিত নিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা লিখিত আবেদন নিয়ে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

উত্তরার জসীমউদ্‌দীন মোড়ে প্যারাডাইজ টাওয়ারের সামনের সড়কে সোমবার বিকেলে ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপা পড়ে একটি প্রাইভেট কার। ক্রেনে তোলার সময় ভায়াডাক্টের অংশটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলত গাড়িটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুই শিশুসহ পাঁচজন। এত আহত হন আরও দুজন।

বিকেলে এমন নির্মাণকাজ করার সময় সেখানে নেয়া হয়নি কোনো ধরনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা। ব্যস্ত সড়কে যান চলাচলের মধ্যেই এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছিল বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ক্রেনের চালকসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিজিজিসির বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে সোমবার রাতেই মামলা হয়েছে।

সড়ক বিভাগের ৫ সদস্যের একটি কমিটি দুর্ঘটনার তদন্ত করে প্রাথমিক একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে মঙ্গলবার। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে বুধবারের মধ্যে।

এই দুর্ঘটনার দায় সব পক্ষকে নিতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক অধ্যাপক হাদিউজ্জামান।

তিনি জানান, এমন নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে নির্মাণ এলাকা ঘিরে একটা সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হয়। যেন সাধারণ মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে না পারেন। এমনকি সে এলাকায় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও জানান তিনি।

এই গবেষক বলেন, ‘ক্রেন থেকে গার্ডার কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যেতেই পারে, সে কারণেই আপনাকে পূর্ব সতর্কতা নিতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস হচ্ছে, আমাকে সেই জায়গাতে আগেই কর্ডন বা নিরাপত্তা-বেষ্টনী তৈরি করতে হবে। ওই বেষ্টনীর মধ্যে যেন পথচারী বা কোনো যানবাহন ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্বও কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।’

‘এ ধরনের প্রকল্পে কিন্তু এই ম্যানেজমেন্টের জন্য একটা বড় ব্যয় ধরা থাকে। আমার মনে হয়, বিআরটি প্রজেক্টে প্রথম থেকেই কনস্ট্রাকশন প্র্যাকটিসের ন্যূনতম যে গ্রামারটা আছে, সেটা তারা ফলো করছে না। … অতীতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং নিহতের ঘটনাও আছে। ওইখান থেকেও আমাদের একটা শিক্ষা নেয়ার দরকার ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর