ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাসেল সিকদার নামে যুবকের বিরুদ্ধে।
বোয়ালমারী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। রাসেলকে সোমবার বিকেলে ১ নম্বর আমলি আদালতে নিলে বিচারক ফারুক হোসেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে রাসেল মুদি দোকান থেকে দেড়শ টাকার পণ্য বাকিতে কেনেন। সন্ধ্যায় তিনি দোকানদারের বাড়ি গিয়ে তার ১১ বছর বয়সী মেয়েকে বাকির টাকা নিয়ে যেতে বলেন। মেয়েটি এগিয়ে গেলে রাসেল তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
স্থানীয়রা রাত ১১টার দিকে রাসেলের বাড়ির বাথরুম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালমারী থানা পুলিশ রাসেলকে রাতেই আটক করে থানায় নেয়।
প্রতিবেশী মেরান শেখ জানান, রাসেল উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। এর আগে সে একবার পরিবারের অমতে বিয়ে করলে সে বিয়ে টেকেনি। একমাত্র ছেলে উচ্ছৃঙ্খল হওয়ায় রাসেলের সঙ্গে তার বাবা-মা থাকেন না। রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে শিশুটির বাবা বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।