বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অসাম্প্রদায়িক-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু চর্চা বাড়ানোর আহ্বান

  •    
  • ১৫ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৫৯

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের এক ঘৃণ্য দিন। এ দিনেই ঘাতকের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে শাহাদত বরণ করতে হয়। তাকে হত্যার মাধ্যমে জাতির ইতিহাসকে উল্টোপথে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-দর্শন নতুন প্রজন্ম ও যুবসমাজের কাছে পৌঁছে দিতে ‘বঙ্গবন্ধু চর্চা’ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

উপাচার্য বলেছেন, বঙ্গবন্ধু চর্চা বাড়ালে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের এক ঘৃণ্য দিন। এ দিনেই ঘাতকের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে শাহাদত বরণ করতে হয়। তাকে হত্যার মাধ্যমে জাতির ইতিহাসকে উল্টোপথে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়।’

জাতির পিতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের নানান দিক তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই শিক্ষা-দর্শনের হুবহু বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।’

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন এবং তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন ও হলগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়, সেই সঙ্গে উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা।

সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া উপাচার্য ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘মহাকালের খেরো খাতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর