নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা ইউনিয়নে জাতীয় শোক দিবসের কাঙালি ভোজে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চল্লিশা ইউনিয়নের বাঘরা বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত চারজনকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চল্লিশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লালচান মিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব খানের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে লালচান মিয়া বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমরা বাঘরা বাজারে একটি মার্কেটের সামনে কাঙালি ভোজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করি। আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব খানের নেতৃত্বে কিছু লোক এসে হামলা চালান। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেন।’
বিপ্লব খান বলেন, ‘আমরা বাঘরা ফাজিল মাদ্রাসার পাশে কাঙালি ভোজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের অনুষ্ঠান পণ্ড করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, কাছাকাছি স্থানে দুই পক্ষের কাঙালি ভোজ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নেতাকর্মীরা আরও জানান, সংঘর্ষে চল্লিশা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান লালু, সহসভাপতি জনি মিয়া, সুলতান মাহমুদ মিলন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জুয়েল মিয়া, লিটন মিয়া, এরশাদ মিয়া ও মজিবুর রহমানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আবদুল জলিল, সাইফুর রহমান লালু, জনি মিয়া ও সুলতান মাহমুদ মিলনকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিপ্লব খান ও আপ্তাব উদ্দিন নামের দুইজনকে হেফাজতে নিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’