বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চকবাজারে পুড়ে যাওয়া ভবনে ৬ মরদেহ

  •    
  • ১৫ আগস্ট, ২০২২ ১৬:৩৮

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ছয়টি মরদেহ দেখতে পেয়েছি। উদ্ধারকাজ শেষে আমরা নিশ্চিত করতে পারব কতজন মারা গেছেন।’

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে একটি ভবনে আগুনের পর ছয়টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

সোমবার দুপুরে চকবাজারের দেবিদ্বারঘাট এলাকার ওই ভবনে আগুন লাগে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট তৎপরতা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সেখান থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ছয়টি মরদেহ দেখতে পেয়েছি। উদ্ধারকাজ শেষে আমরা নিশ্চিত করতে পারব কতজন মারা গেছেন।’

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভবনটির নিচতলায় একটি হোটেল রয়েছে, যেটি বরিশাল হোটেল নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। এই হোটেলটির ঠিক ওপরে অর্থাৎ দোতলায় একটি ছোট ঘর আছে, ওই ঘর থেকেই একসঙ্গে মরদেহগুলো পাওয়া গেছে। সবগুলো দেহই পুড়ে গেছে।’

নিহত ছয় জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী শরিফ কুমিল্লার চান্দিনার তিতচরের বাসিন্দা ছিল। তার বাবার নাম মিজান। ১৬ বছর বয়সী মোতালেবের বাড়ি বরিশালের হিজলার শংকরপাশায়। তার বাবার নাম মোস্তফা। নিহত ২৮ বছর বয়সী রুবেল মাদারীপুরের কালকিনির দক্ষিণ আকাল বরিশের সাত্তার হিলালুর ছেলে। ৩৫ বছরের বিল্লাল বরিশালের মুলাদীর টুমচরের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯ বছরের স্বপন সরকার হবিগঞ্জের লাখাই থানার রাকেশ সরকারের ছেলে। ২৫ বছর বয়সী ওসমান শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের আবুল কালাম সরকারের ছেলে। তারা সবাই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।

মরদেহ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম।

এই ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত দুপুর ১২টার দিকে। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও চারটি ইউনিট।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, চারতলা ভবনটির চতুর্থ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত পাকা আর চতুর্থ তলায় টিনশেড ঘর নির্মাণ করা আছে। এই টিনশেড ঘরটি মূলত প্লাস্টিকের খেলনা উৎপাদন ও মজুতের গোডাউন। এখান থেকে প্রথমে আগুন লাগে।

তারা জানান, সকাল থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। তাই অন্য দিনের তুলনায় কারখানায় শ্রমিকদের উপস্থিতি কম। এই ভবনের আশপাশে একাধিক পলিথিন কারখানা রয়েছে।

স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, ভবনটির নিচতলায় খাবারের হোটেলে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ওপরের দিকে উঠে গেলে সেখান থেকে তা চারতলার খেলনার কারখানা ও গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে যেহেতু প্লাস্টিক খেলনা ও পলিথিন কারখানা রয়েছে, তাই কিছু রাসায়নিকের উপস্থিতিও থাকতে পারে। এ জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে।’

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ওই চারতলা ভবনের কাছাকাছি পৌঁছাতে না পারায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।

এ বিভাগের আরো খবর