রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে একটি প্লাস্টিক কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটের প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বেলা ২টা ২০ মিনিটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের দাবি, ওই চারতলা ভবনের নিচতলায় একটি খাবারের হোটেল রয়েছে৷ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই রেস্তোরাঁয় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন উপরের দিকে উঠে গেলে সেখান থেকে চারতলার খেলনার কারখানা ও গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস এখনও নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণকেই প্রাধান্য দেন তারা।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে যেহেতু প্লাস্টিক খেলনা ও পলিথিন কারখানা রয়েছে তাই কিছু রাসায়নিকের উপস্থিতিও থাকতে পারে। এজন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে।’
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে প্লাস্টিক কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে যোগ দেয় আরও চারটি ইউনিট।
তিনি বলেন, ‘চকবাজারের দেবীদ্বারঘাটের কামালবাগ এলাকার ওই কারখানায় প্লাস্টিক পণ্য ও পলিথিন উৎপাদন করা হয়। ১২টার দিকে আমরা আগুনের সংবাদ পাই।
‘১২টা ৯ মিনিটে আমাদের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর আরও চারটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, চারতলা ভবনের চতুর্থ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। এই ভবনটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত পাকা ভবন আর চতুর্থ তলায় টিনশেড ঘর নির্মাণ করা আছে। এই টিনশেড ঘরটি মূলত প্লাস্টিকের খেলনা উৎপাদন ও মজুতের গোডাউন। এখান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত।
তারা জানান, সোমবার সকাল থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। তাই অন্যদিনের তুলনায় কারখানায় শ্রমিকদের উপস্থিতি কম। এই ভবনের আশপাশে একাধিক পলিথিন কারখানা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ওই চারতলা ভবনের কাছাকাছি পৌঁছাতে না পারায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। আগুনের আঁচ অনেকটাই কমে এসেছে।