গাজীপুরে ধীরাশ্রম স্টেশন এলাকায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ১১ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ঢাকা ছেড়ে যাওয়া পঞ্চগড়গামী ‘দ্রুতযান এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সরিয়ে নেয়া হলে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে গাজীপুরের ধীরাশ্রম রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যালের পাশে ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘মিটারগেজে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ঢাকা-উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত ব্রডগেজে সংস্কারকাজ এখনও চলমান রয়েছে।
‘সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন ধীরাশ্রম রেলস্টেশন পার হয়। পরে পৌনে ৯টার দিকে লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনও ধীরাশ্রম স্টেশন হয়ে জয়দেবপুর আসে।’
তিনি জানান, এর আগে ‘দ্রুতযান এক্সপ্রেস’ ট্রেনের চারটি বগি ধীরাশ্রম স্টেশনের ১০০ গজ উত্তর পাশে লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে একটি বগি পুরোপুরি উল্টে যায়, বাকিগুলো আংশিক উল্টে যায়। এর পর থেকেই উত্তরাঞ্চলে টেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর রাত ১টার দিকে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বগিগুলো উদ্ধার ও মেরামতের কাজ শেষে সকাল ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।’
এদিকে বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় মোট ১৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। আহতদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং কারও গাফলতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি।’