আব্বাস উদ্দিন নামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে অটোরিকশাচালক। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত। মারধরের ঘটনায় মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মাঈনুদ্দিন নামে এক অটোচালককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে কোটবাড়ী টিচার্স ট্রেনিং কলেজসংলগ্ন মোড়ে ওই ঘটনাটি ঘটার পর সেখানকার অটোস্ট্যান্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, আব্বাস উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য স্ট্যান্ডের একটি অটোরিকশায় ওঠেন। কিন্তু দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে দাঁড়িয়ে থাকা ওই অটো থেকে নেমে তিনি আরেকটি চলন্ত অটোতে গিয়ে ওঠেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আগের অটোরিকশাটির চালক তাকে মারধর করেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন আরেক চালক।
ভুক্তভোগী আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘ক্লাসে দেরি হয়ে যাওয়ায় আমি তার অটো চেঞ্জ করে রানিং একটা অটোতে গিয়ে উঠি। তখন সে আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করলে আমি এর প্রতিবাদ করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতের চাবি দিয়ে আমাকে আঘাত করতে শুরু করে।’
কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে দুইজন অটোচালক মারধর করেছেন- এমন একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মাঈনুউদ্দিন নামে এক অটোচালককে আটক করেছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে যাই এবং শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করি।’
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রবিউলকে আটক করা সম্ভব না হলেও তার সহযোগী মাঈনুদ্দিনকে পুলিশ আটক করেছে বলেও জানান প্রক্টর। রবিউলকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।