বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যানারে ‘ছাত্রলীগ’ লেখার কথা বলেনি সাবেক নেতারা: বুয়েট ভিসি

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ২৩:২১

বুয়েট উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘কিন্তু ওরা ব্যানারের মধ্যে যেটা লিখছে সেটা আমরা জানতাম না। বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এটা তারা পরে লিখেছে। আবেদনের সময় এটা ছিল না।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকলেও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। ছাত্রলীগের ব্যানারে শনিবার বিকেলে আয়োজনটি ঘিরে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা আয়োজনটির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিলেও ব্যানারে ছাত্রলীগ রাখার বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না বলে জানিয়েছেন বুয়েট উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলেছি। মূলত এটি আমরা পরে জানতে পেরেছি। আগে জানতাম না। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তারা যে আবেদন লিখেছে সেখানে বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী লিখা ছিল। সে জন্যই তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

‘কিন্তু ওরা ব্যানারের মধ্যে যেটা লিখছে সেটা আমরা জানতাম না। বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এটা তারা পরে লিখেছে। আবেদনের সময় এটা ছিল না।’

সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা শোক দিবস পালন করি। ছাত্ররাও করে। এটি নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। শুধু ছাত্রলীগ লিখা ছিল, এ জন্যই তাদের আপত্তি।’

বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারের সে আলোচনা সভা ঘিরে জড়ো হয়ে ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘আবরারের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’ ইত্যাদি স্লোাগান দেন।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্ত্বেও ছাত্রলীগের ব্যানারে প্রোগ্রাম আয়োজন করতে দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন শিক্ষার্থীরা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৮টায় শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়া কোনো শিক্ষার্থীই তাদের পরিচয় বলেননি।

‘শিক্ষার্থীরা সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির পুনরুত্থানের আশঙ্কায় আছে’

বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির পুনরুত্থানের আশঙ্কায় আছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘শোকের মাস আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি হারায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

‘তার আদর্শ অনুসরণ করেই আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে গড়ে তুলতে। তারই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করা সকল শিক্ষার্থীর মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম।’

‘অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, যে ছাত্ররাজনীতি একসময় দেশের ক্রান্তিলগ্নে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছিল, পরাধীনতার হাত থেকে যুক্ত করে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের, সেই ছাত্ররাজনীতি আজ ক্ষমতার অপব্যবহারে কলুষিত।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও শনিবার সেমিনার হল বুয়েট অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্সে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েটের সাবেক নেতৃবৃন্দ’ আয়োজনে একটি ব্যানার দেখা যায়।

গত ২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দিপের স্মৃতিফলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ৮ জুন সাবেকুন নাহার সনির স্মৃতিফলকে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের পক্ষ থেকে ব্যানার টানানো হয়।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের বারবার নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি পাওয়ায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, ‘এমন কার্যক্রমের ব্যাপারে আমরা, বুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থী, কর্তৃপক্ষের অবস্থান এবং সুস্পষ্ট জবাব আশা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর